সিত্রাং আঘাত হানতে পারে সাতক্ষীরায়ও, মোকাবিলায় প্রস্তুতি সভা
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/10/23/satkhira-phots-1.jpg)
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি আজ রাতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে রূপ নেবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঝড়টি আঘাত হাতে পারে সাতক্ষীরায়ও। সিত্রাং মোকাবিলায় তাই এই জেলায় সম্পন্ন হয়েছে প্রস্তুতি সভা। সভায় ঘূর্ণিঝড়টির মোকাবিলায় উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনির ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রক্ষার জন্য প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা নিতে পানি উনয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
আজ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেছেন, ‘ঝড়টি যদি উত্তর-পূর্ব দিকে মোড় নেয়, তাহলে এটি কক্সবাজার থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত প্রতিটি জেলাতেই আঘাত হানবে।’
এটি সোমবার দিনগত গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করছেন আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তিন থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হতে পারে।
আজ রোববার দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির। প্রস্তুতি সভায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনির ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রক্ষার জন্য প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা নিতে পানি উনয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির বলেন, ‘জেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুটি বিভাগের ৭৮০ কিলামিটার বেরিবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি পয়েন্টে ৮০ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভাঙ্গন এড়াতে পানি উনয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ২০ হাজার জিও ব্যাগ মজুদ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আশাশুনি উপজেলায় ১০৮টি, শ্যামনগর উপজেলায় ১০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৪৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত শুকনা খাবার, দরকারি ঔষধ, সুপেয় পানিসহ প্রয়াজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’