সিরাজগঞ্জে ২ মামলায় এক নারীর যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকায় রোকসানা বেগম (৪৫) নামে এক নারীকে হেরোইন ও ইয়াবা রাখার দায়ে দুটি মামলায় প্রত্যেকটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে দুটি মামলায় দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির এই কারাদণ্ড প্রদান করেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুর রহমান ও স্টেনোগ্রাফার রাশেদুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত রোকসানা বেগম সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার মাহমুদ মহল্লার ২নং গলির নিহত নুরুল ইসলাম মোহনের স্ত্রী। গ্রেপ্তারের পর দুটি মামলায় আদালত থেকে জামিন নেন তিনি। এরপর থেকে রোকসানা বেগম পলাতক রয়েছেন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৭ সালের ৭ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ র্যাব-১২ এর সদস্যরা জানতে পারে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার মাহমুদ মহল্লার ২নং গলির নুরুল ইসলাম মোহনের বাড়িতে ইয়াবা ও হেরোইন ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় র্যাব। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে রোকসানা বেগম দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করে র্যাব। পরে শরির তল্লাশি চালিয়ে ৪৩ গ্রাম হোরোইন ও ১৫০টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলা করা হয়।
আদালতে সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অবৈধভাবে হেরোইন রাখার অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ইয়াবা রাখার দায়ে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরেকটি মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৪ সালের ১৪ আগস্ট সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছিল। এসময় ডিবি পুলিশ জানতে পারে মাহমুদ মহল্লার ২নং গলির নুরুল ইসলাম মোহনের বাড়িতে ইয়াবা ও হেরোইন ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে। সেখানে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। টের পেয়ে রোকসানা বেগম দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে আটক করে। পরে তার ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ১৭০ গ্রাম হোরোইন ও ৫০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলা করা হয়। আদালতে ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অবৈধভাবে হেরোইন রাখার অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া ইয়াবা ট্যাবলেট রাখার দায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।