সিলেটবাসীর দুর্দশা লাঘবে সব করা হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আকস্মিক বন্যায় সিলেটবাসীর দুর্দশা লাঘবের জন্য সরকারের পক্ষ হতে ত্রাণসহ সবধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি আজ বুধবার সিলেটে বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের সময় এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ জনগণের যেকোনো দুঃসময়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় জনগণের পাশে রয়েছেন। বন্যা কবলিত জনসাধারণকে প্রয়োজনীয় সবধরনের সহায়তা দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিলেটের এই আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য যা যা করণীয় তা করা হবে এবং যত ত্রাণ প্রয়োজন হয় তা দেওয়া হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সিলেটে বন্যা প্রতিরোধে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ড্রেজিং করা হবে। সিলেট সদরে বন্যা কবলিত মানুষের জন্য ইতোমধ্যে ৩৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে, প্রয়োজনে আরও আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হবে।
সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ দুপুরে সিলেটে পৌঁছে সরাসরি সিলেট সদরের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শনে যান এবং বন্যাকবলিত মানুষের সাথে কথা বলেন। তিনি প্রথমে চালিবন্দর রামকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয় এবং পরে মিরাবাজার কিশোরীমোহন বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় গ্রহণকারী বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. কামরুল হাসান, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেট সদরের কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বন্যা কবলিত বাদাঘাট এলাকা পরিদর্শনে যান। তিনি সেখানকার বন্যাদুর্গত মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা শোনেন এবং তাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে আয়োজিত সিলেট জেলার বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। সভায় সিলেট জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, ত্রাণ ব্যবস্থাপনা এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সভায় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।