সিলেটে শিক্ষিকার গলাকাটা ও গৃহকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় তিন খুনের ঘটনার পর এবার ওসমানীনগর উপজেলায় জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের সোয়াইরগাঁও এলাকায় একটি ঘরের ভেতর থেকে গতকাল শনিবার রাত ১২টার পর এক স্কুলশিক্ষিকার গলাকাটা ও তাঁর গৃহকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত দুজন হলেন সোয়াইরগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা তপতী রানী দে (৬০) ও বাড়ির গৃহকর্মী গৌরাঙ্গ বৈদ্য।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তপতী রানী দের স্বামী ও ছেলে দুজনই চিকিৎসক। স্বামী ও ছেলের সঙ্গে সোয়াইরগাঁও এলাকায় বসবাস করতেন তিনি। গতকাল শনিবার বিকেলে স্বামী ও ছেলে চেম্বারে প্র্যাকটিসে চলে যান। রাতে বাড়ি ফিরে তাঁর স্বামী বিজন ভূষন দে ডাকাডাকি করলেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। কেউ দরজাও খোলেনি। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
রাত ১২টার দিকে ওসমানীনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হুদা ঘরের বাথরুমের জানালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তপতী দের গলাকাটা ও গৃহকর্মী গৌরাঙ্গের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পুলিশের ধারণা, সন্ধ্যার পর এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক জানান, কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, সে ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। ঘটনা তদন্তে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
এর আগে গত বুধবার সকালে গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দি গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে এক নারী ও তাঁর দুই শিশু সন্তানের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই নারীর স্বামী হিফজুর রহমানকে। পরে শনিবার হিফজুরকে এ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পুলিশ দাবি করছে, হিফজুরই তাঁর স্ত্রী আলেমা বেগম এবং তাঁর দুই শিশু সন্তান মিজানুর রহমান ও আনিশাকে কুপিয়ে খুন করেছেন।