সীতাকুণ্ডে আগুন : বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও ক্ষতিপূরণে সরকারকে আইনি নোটিশ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুনে পুড়ে ৪৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে নিহতদের পরিবারকে দুই কোটি টাকা করে এবং আহতদের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ বুধবার জনস্বার্থে ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. হুমায়ুন কবির পল্লব এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
নোটিশে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট নয় জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. হুমায়ুন কবির পল্লব নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আমরা রিট আবেদন করব।’
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। রাত ১০টার পর আগুনের খবর ছড়িয়ে পড়ে। রাত ১২টার পর থেকে মৃতের খবর আসতে থাকে। সময় যত গড়াতে থাকে, মৃতের সংখ্যাও তত বাড়তে থাকে।
সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। ঘটনার পর এ নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন প্রতিষ্ঠান চার রকম তথ্য দেয়। রোববার (৫ জুন) রাতে দেওয়া তথ্য পরদিন সকালে সংশোধন করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
রোববার বিকেল ৫টায় চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী জানান, মৃতের সংখ্যা ৪৯ জন। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান জানান, মৃতের সংখ্যা ৪৬ জন। এরও পরে, রাত ৯টায় জেলা প্রশাসনের নোটিশ বোর্ডেও জানানো হয় মৃতের সংখ্যা ৪৬।
কিন্তু সোমবার (৬ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান জানান, মৃতের সংখ্যা ৪১ জন।
তবে এর আগেই সোমবার সকালে জেলা প্রশাসন নোটিশ বোর্ড সংশোধন করে মৃতের সংখ্যা ৪১ জন বলে জানায়।
এদিকে, এ দুর্ঘটনায় মঙ্গলবার আরও দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৩ জনে। এ ছাড়া চমেকে আজ দগ্ধ আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪৪ জনে।