সীতাকুণ্ডে কারখানায় বিস্ফোরণ : দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার কাজ চলছে
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডের পর আজ রোববার (৫ মার্চ) দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
এ ঘটনায় ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে গঠিত এ কমিটিকে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, আজ রোববার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ছয়জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ২০ জনের মধ্যে আট থেকে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় আহত আরও পাঁচজন নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাস্থল ও হাসপাতালগুলোতে হতাহতদের স্বজনদের আহাজারি থামছে না।
জেলা প্রশাসন বলছে, সুরতহাল সম্পন্ন করার পর স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আবদুল মালেক বলেন, ‘দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার কাজ চলছে।’
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার (৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার কদমরসুল এলাকায় সীমা রি-রোলিং মিলের অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ছয়জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
নিহতরা হলেন—সীতাকুণ্ডের জাহানাবাদ ভাটিয়ারী ইউনিয়নের কদমরসুল গ্রামের শামছুল আলম (৫৬), একই উপজেলার বিএমএ গেট এলাকার বানু বাজারের ফরিদ (৩৬), নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার ছোট মনগড়া গ্রামের রতন লখরেট (৪৫), নোয়াখালীর মাইজদী উপজেলার আলিপুর গ্রামের মো. আবদুল কাদের (৫৮), লক্ষ্মীপুরের কমল নগর উপজেলার চরলরেঞ্জ গ্রামের মো. সালাউদ্দিন (৩৩)। তবে, নিহত আরেকজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
এদিকে, চট্টগ্রামের সীমা রি-রোলিং মিলের অক্সিজেন কারখানার এই দুর্ঘটনায় নিহতদের দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা, দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে দুই লাখ টাকা করে এবং আহত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।