হামলায় ইসলামী আন্দোলনের চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আহত ৫, আ.লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ
বরিশাল সদর উপজেলায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাঁর কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তাঁর অনুসারীরা এই হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলায় ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। উপজেলার জাগুয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের খয়েরদি গ্রামে গতকাল বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হেদায়াতুল্লাহ খান আজাদী, তাঁর কর্মী সাইদুল ইসলাম, রাকিব মাহামুদ, সজল তালুকদার ও শরীয়তুল্লাহ। তাঁরা সবাই বর্তমানে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জাগুয়া ইউপি নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী হেদায়াতুল্লাহ খান আজাদী অভিযোগ করেন, ‘খয়েরদি গ্রামে গণসংযোগ শেষে ফেরার সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী দিদারুল আলম শাহীন ১৫ থেকে ২০টি মোটরসাইকেলে তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালান। এ সময় তাঁদের সঙ্গে হকিস্টিক, লাঠি, ছুড়ি, রামদা ও ক্রিকেট স্টাম্প ছিলে। এ সময় আমার কর্মীদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। আমার কর্মী সাইদুল ইসলামের অবস্থা গুরুতর। তাঁর মাথায়, বুকে ও শরীরের অন্যান্য অংশে আঘাত করা হয়েছে। এ ছাড়া আমার আপন ছোট ভাই শরীয়তুল্লাহ, চাচাতো ভাই রাকিব মাহামুদ ও চাচা সজল তালুকদারকে কোপানো হয়েছে। এ ছাড়া দিদারুল আলম শাহীন ও তাঁর লোকজন আমাদের হ্যান্ডমাইক এবং আমাদের সঙ্গে থাকা হাতপাখাগুলো নিয়ে গেছেন।’
হেদায়াতুল্লাহ খান আরও অভিযোগ করেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহীনের সঙ্গে দিপু আকন, শুভ খান, বাবু খান, মিরাজ ফকির, তানভীর হাওলাদার, মোয়াজ্জেম হোসেন আকন, কামরুল ইসলাম, রিশাদ, নীরব চাপরাশী, আকাশ খান, মাকছুদুর রহমান সিকদার, তানজীর হোসেন, আসাদুল ইসলাম, হেলাল হাওলাদার ও মিলন হাওলাদারসহ আরও অনেকে আমাদের ওপর হামলায় অংশ নেয়।’
পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এই বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দিদারুল আলম শাহীনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
জাগুয়া ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তাক আলম চৌধুরী বলেন, ‘নৌকা আর হাতপাখা সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার খবর শুনেছি। তবে বিস্তারিত কিছু জানি না।’
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। এ ছাড়া আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।