২০ দলীয় জোট ছাড়ল খেলাফত মজলিস
২০ দলীয় জোটসহ সব রাজনৈতিক জোটের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেছে খেলাফত মজলিস। আজ শুক্রবার রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক জোট ছাড়ার ঘোষণা দেন।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের আমির বলেন, খেলাফত মজলিস একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতির প্রয়োজনে সর্বদা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন-সংগ্রামে খেলাফত মজলিস বিশ্বাসী। একটি সুশৃঙ্খল সংগঠন হিসেবে দীর্ঘ তিন দশকেরও অধিক সময় রাজনৈতিক অঙ্গনে দেশ, জাতি, ইসলাম ও জনগণের পক্ষে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে আসছে। খেলাফত মাজলিস মনে করে, দেশের প্রতিটি নাগরিকের রাজনৈতিক মতাদর্শ লালনপালন করার অধিকার আছে। যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানেও স্বীকৃত। একটি সরব সক্রিয় নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে খেলাফত মজলিসের রাজনৈতিক কর্ম-কৌশল সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় সময়ে সময়ে পর্যালোচনা করে, দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে।
মাওলানা ইসহাক বলেন, বিগত ২০১৯ সালের ২৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত মজলিসে শুরার অধিবেশনে ২০ দলীয় জোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, পরবর্তী সিদ্ধান্তের পূর্ব পর্যন্ত খেলাফত মজলিস জোটের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করে রাজনৈতিক পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। সে অনুযায়ী দীর্ঘ দুই বছরের অধিক সময় ধরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আসছে।
খেলাফত মজলিসের প্রধান আরও বলেন, রাজনৈতিক জোট ইস্যুকেন্দ্রিক গঠিত হয়। জোট কোনো স্থায়ী বিষয় নয়। খেলাফত মজলিস ২০ দলীয় জোটে দীর্ঘ ২২ বছর যাবত আছে। ২০১৯ সাল থেকে ২০ দলীয় জোটের দৃশ্যমান রাজনৈতিক তৎপরতা ও কর্মসূচি নেই। ২০১৮ সালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের মধ্য দিয়ে ২০ দলীয় জোটকে কার্যত রাজনৈতিকভাবে অকার্যকরও করা হয়।
খেলাফত মজলিসের আমির বলেন, এমতাবস্থায় আদর্শিক, সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায়, ২০১৯ সালের মজলিসে শুরায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খেলাফত মজলিস আজকের মজলিসে শুরার অধিবেশনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, খেলাফত মজলিস একটি আদর্শিক রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে স্বকীয়-স্বাতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে ময়দানে ভূমিকা রাখবে এবং এখন থেকে ২০ দলী জোটসহ সব রাজনৈতিক জোটের সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, লেখক, কারারুদ্ধ ড. আহমদ আবদুল কাদেরের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার সব ওলামায়ে কেরাম ও রাজনৈতিক নেতাদের আশু মুক্তির দাবি জানান নেতারা।