মানিকগঞ্জে আ. লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচারে বাঁধার অভিযোগ

মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রচারে বাধা, ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখানো ও আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ করা হয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে এসব অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজি মো. রমজান আলী (মোবাইল ফোন মার্কা)। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার ও মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবে অভিযোগের অনুলিপি পাঠানোও হয়েছে। তবে, আওয়ামী লীগ প্রার্থী (আনারস মার্কা) এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
হাজি মো. রমজান আলীর অভিযোগ, তাঁর কর্মীদের নির্বাচনী কাজে বাধা ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছেন প্রতিদ্বন্দ্বী মহীউদ্দিনের সমর্থকরা। মহীউদ্দিন নিজেও বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ করে ভোটারদের আনারস প্রতীকে ভোট দিয়ে মোবাইল ফোনে ছবি তুলতে নির্দেশ দিচ্ছেন। নিজ প্রতীকে ভোট দিতেও নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে বাধ্য করার চেষ্টা করছেন। এতে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ ছাড়া, নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করে মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয় ওই প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট চাচ্ছেন। মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মুক্তিযোদ্ধা গাজী কামরুল হুদা সেলিমও সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে ওই প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন। এর আগেও ওই প্রার্থীর সমর্থকরা পোস্টার ছিঁড়ে তাঁর কর্মীদের মারধর করায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলেও লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন হাজি মো. রমজান আলী।
এ সব অভিযোগ অস্বীকার করে মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দিন জানান, তাঁর কোনো সমর্থক এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত নন। রমজান আলী এসব অভিযোগ করে নির্বাচনী ফায়দা লোটার চেষ্টা করছেন।
এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌস জানান, এসব অভিযোগের কপি এখনো হাতে পাননি তিনি। তবে কপি পেয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।