পাবনা জেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চুন্নু

পাবনা জেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, সদ্য বিদায়ী প্রশাসক ও আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা এম. সাইদুল হক চুন্নু।
গতকাল রোববার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চুন্নু বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। আমি এম. সাইদুল হক চুন্নু দীর্ঘদিন ধরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন নগণ্য সেবক হিসেবে পাবনার রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে পাবনা জেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্ব প্রদান করায় আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। গত ৫ বছর আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠা, সততা, দক্ষতা ও সুনামের সাথে পালন করেছি। সম্প্রতি জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে একজন প্রার্থী। নির্দলীয় এ নির্বাচনে আমি গভীরভাবে লক্ষ্য করলাম একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী যিনি পাবনার রাজনীতিকে ধ্বংস করার অপচেষ্টায় নিয়োজিত, তিনি পাবনার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কারো সাথে আলাপ আলোচনা না করে বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচনে মনোনয়ন প্রভাবিত করে অযোগ্য, অদক্ষ ব্যক্তিদের পাবনাবাসীর মাথার উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। পাবনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে তাঁর চাপিয়ে দেওয়া প্রার্থীকে জয়যুক্ত করতে সর্বপ্রকার নির্বাচনী আচরনবিধি ভঙ্গ করে পদদলিত করেছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’
তা ছাড়া আমি নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে দেখলাম সম্মানীত ভোটারগণ তরুণ প্রজস্মকে নেতৃত্বে দেখতে চায়। এ ছাড়াও আমি দেখলাম রাজনীতির নামে নির্বাচনী মাঠে নেমে বিশেষ কেউ অনৈতিক খেলায় মেতেছেন। আমার স্বচ্ছ রাজনৈতিক জীবনে কখনো নিজেকে এ ধরনের অনৈতিক কাজে জড়াইনি। তাই আমি নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। আমার আশা থাকবে একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথা আগামী দিনের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার গতিশীল নেতৃত্বকে এগিয়ে নিতে এবং জেলা পরিষদকে শক্তিশালী করতে তথা পাবনাবাসীর উন্নয়নে সম্মানীত ভোটারগণ যোগ্য উদ্যমী নেতৃত্বকে নির্বাচিত করবেন। আমি অতীতের ন্যয় আগামীতেও আপনাদের তথা পাবনাবাসীর পাশে থাকব ইনশাল্লাহ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”