‘নিখোঁজ’ নিরাপত্তাকর্মীর থানায় ‘আত্মহত্যা’
চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় চুরির অভিযোগে আটক এক নিরাপত্তা প্রহরী নিজের জামা গলায় পেঁচিয়ে বাথরুমে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। তবে পরিবার বলছে, ওই নিরাপত্তাকর্মী গত তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। ‘রহস্যজনক’ এ ঘটনা তদন্তে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ-সিএমপির পক্ষ থেকে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে থানা হাজতের বাথরুম থেকে নিরাপত্তা প্রহরী ইছহাক মিয়ার (৫০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি আনোয়ারার কর্ণফুলী থানা এলাকার বাসিন্দা। ইছহাক বন্দরনগরীর এনায়েত বাজারের কোমল পানীয়ের এজেন্ট ‘জাহিদ এন্টারপ্রাইজে’ নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কাজ করতেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন এনটিভি অনলাইনের কাছে দাবি করেন, গত ২৭ মে ‘জাহিদ এন্টারপ্রাইজে’ চুরির ঘটনা ঘটে। এতে প্রতিষ্ঠানের চার হাজার টাকার মালামাল খোয়া যায়। প্রতিষ্ঠানের মালিক শুক্রবার রাতে নিরাপত্তাকর্মী ইছহাককে থানায় সোপর্দ করেন। পরে চুরির মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
‘ইছহাক ফুলহাতা শার্টের একটি অংশ গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আজ সকাল পৌনে ৯টায় তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে অপমৃত্যুর মামলার প্রস্তুতি চলছে।’ যোগ করেন ওসি।
তবে নিহত নিরাপত্তা প্রহরীর ভাই জহুরুল আলম এনটিভি অনলাইনকে জানান, ‘গত তিন দিন ধরে আমরা ইছহাকের খোঁজ পাচ্ছিলাম না। শুক্রবার রাতে ইছহাক নিজেই ফোন করে পরিবারের সদস্যদের জানায়, সে কোতোয়ালি থানায় আছে।’
‘পরে আমরা থানায় যোগাযোগ করি। থানা থেকে আমাদের জানানো হয়, ইছহাককে ছেড়ে দেওয়া হবে। আর শনিবার সকালে কোতোয়ালি থানা থেকে পরিবারকে ফোন করে জানানো হয়, ইছহাক বাথরুমে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমরা এ মৃত্যৃকে রহস্যজনক বলে মনে করি।’ বলেন জহুরুল আলম।
এ ব্যাপারে সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বনজ কুমার মজুমদার এনটিভি অনলাইনকে জানান, এ ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিএমপির গোয়েন্দা শাখার উপকমিশনার (ডিসি-ডিবি) কুসুম দেওয়ানকে প্রধান করে একটি কমিটি করা হয়েছে। অপর কমিটির প্রধান করা হয়েছে সিএমপির দক্ষিণের সহকারী উপকমিশনার (এডিসি-সাউথ) মিজানুর রহমানকে।
এ দুটি কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলে জানান বনজ কুমার মজুমদার।