‘পুরোনো’ ও ‘নব্য’ জেএমবির তালিকা হচ্ছে
নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) ‘পুরোনো’ ও ‘নব্য’ ধারার সদস্যদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমিতে চলমান আলোকচিত্র প্রদর্শনীর দ্বিতীয় দিনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
র্যাব ডিজি বলেন, ২০১২ সালে পুরোনো জেএমবির গ্রুপটি ভাঙার পর ২০১৫ সালে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর নেতৃত্বে একত্র হয়ে ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায়। তিনি বলেন, হলি আর্টিজান বেকারিতে অভিযানের পর থেকে জঙ্গিদের সক্ষমতা কমেছে। তারা এখন আক্রমণে সক্ষম নয়।
বেনজীর বলেন, জঙ্গিদের বিভিন্ন গ্রুপ ছিল। অভিযানের ফলে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তারা যাতে কোনোভাবে সংঘবদ্ধ হতে না পারে, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব সময় তাদের নজরদারিতে রেখেছে। জেএমবির পুরোনো যে গ্রুপটি আছে, তারা যেন মাথাচাড়া না দিতে পারে, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।
জঙ্গিদের অর্থের জোগান প্রসঙ্গে র্যাবের ডিজি বলেন, অর্থদাতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
সেনাবাহিনীর বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক সম্বন্ধে বেনজীর বলেন, মেজর জিয়াকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
গত বছরের ২৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় দেওয়ানবাড়িতে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও সোয়াটের অভিযানে তামিম চৌধুরীসহ তিন জঙ্গি নিহত হয়।
গত ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। হামলার পর রাতেই তারা ২০ জনকে হত্যা করে।
ওই দিন রাতে উদ্ধার অভিযানের সময় বন্দুকধারীদের বোমার আঘাতে নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। পরের দিন সকালে যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিহত হয় পাঁচ হামলাকারী। ওই হামলায় মোট ২৯ জন নিহত হয়।
তামিম চৌধুরী ও সেনাবাহিনীর বহিষ্কৃত মেজর জিয়াউল হককে এ হামলার মূল পরিকল্পনাকারী এবং অর্থ ও অস্ত্রের জোগানদাতা বলে দাবি করেন আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক।