নাসিরনগরে ঘটনায় সাবেক আ. লীগ নেতা রিমান্ডে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবদুল আহাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আবদুল আহাদকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম সফিকুল ইসলাম একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর নাসিরনগর উপজেলা সদরের ঘোষপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল আহাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপরের দিন তাঁকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। পরে বিচারিক হাকিম আয়েশা বেগম রিমান্ড নাকচ করে তাঁকে কারাফটকে চারদিন জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। এরপর তাঁকে আরো দুদিন রিমান্ডে নিয়েছিল পুলিশ।
গত ২৮ অক্টোবর নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের বাসিন্দা রসরাজ দাস নামের এক যুবকের ফেসবুক আইডি থেকে পবিত্র কাবাঘরের ছবি সম্পাদনা করে পোস্ট করা হয়। এ নিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগ ওঠার পর স্থানীয় লোকজন তাঁকে পুলিশে দেয়।
এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে পরের দিন ২৯ অক্টোবর দিনভর নাসিরনগর সদর উত্তাল হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় পরের দিন ৩০ অক্টোবর উপজেলা সদরের কলেজ মোড়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। সমাবেশ চলাকালে সদরের একাধিক মন্দির ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঘরবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
এ ঘটনার পর ৪ নভেম্বর উপজেলায় হিন্দুদের পাঁচটি ঘরে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ৫ নভেম্বর নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অঞ্জন কুমার দেবের গোয়ালঘরে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এরপর ১৬ নভেম্বর তাঁর বাড়ির আঙিনায় রাখা পাটখড়িতে আগুন দেওয়া হয়।