ফারুকের মৃত্যুবার্ষিকীতে এমপি রানার ফাঁসি দাবি

টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মেদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দলের নেতাকর্মীরা সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাসহ হত্যা মামলার আসামিদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
আজ বুধবার বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ মিছিলে কয়েক হাজার লোক অংশ নেয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।
এর আগে জেলা শহর ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে মিলিত হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নিহত ফারুক আহম্মেদের সহধর্মিণী নাহার আহম্মেদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন মানিক প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সমাবেশে বক্তারা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তাঁর তিন ভাই শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র শহিদুর রহমান খান মুক্তি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা এবং ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকনসহ আসামিদের ফাঁসির দাবি জানান।
স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে মামলার বাদী নাহার আহম্মেদ বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন টাঙ্গাইলবাসীর প্রতি।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মেদকে হত্যা করে শহরের কলেজপাড়ায় তাঁর নিজ বাসার সামনে ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ফারুক আহম্মেদের স্ত্রী নাহার আহম্মেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘদিন তদন্তের পর এ হত্যার সঙ্গে সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তাঁর তিন ভাইয়ের নাম বেরিয়ে আসে।
এ মামলায় এমপি রানা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। এর মধ্যে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের এক সভায় সংসদ সদস্য ও তাঁর তিন ভাইকে বহিষ্কার করা হয়েছে।