টাঙ্গাইল-৪ উপনির্বাচনে আ. লীগের প্রার্থী জয়ী

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী (নৌকা) হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী জয় পেয়েছেন। নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফলে তিনি এক লাখ ৯৩ হাজার ৫৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।
সোহেল হাজারীর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী (আম) ইমরুল কায়েস পেয়েছেন এক হাজার ৬৯৬ ভোট এবং বিএনএফের প্রার্থী আতাউর রহমান পেয়েছেন (টেলিভিশন) এক হাজার ৩২০ ভোট।
ফলাফলের বিষয়টি নিশ্চিত করে নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম জানান, মোট ১০৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০৬টির ফলাফল পাওয়া গেছে। ভোটের আগের রাতে ব্যালট পেপারে সিল মারার অভিযোগে বল্লভবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। নির্বাচন চলাকালে ভোটারদের তেমন উপস্থিতি না থাকলেও দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় কালিহাতীর উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
এদিকে, নির্বাচনের শেষমুহূর্তে এসে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে জাল ভোটের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী ইমরুল কায়েস। অপরদিকে, বল্লভবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের ব্যালট বাক্সে ভোট ঢুকিয়ে রাখার খবর পেয়ে ওই কেন্দ্রের ভোট বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী (নৌকা), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) প্রার্থী আতাউর রহমান খান (টেলিভিশন) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী ইমরুল কায়েস (আম)।
হজ ও তাবলিগ জামায়াত নিয়ে মন্তব্য করায় মন্ত্রিত্ব ও দলীয় পদ হারিয়ে ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর পদত্যাগের কারণে টাঙ্গাইল-৪ আসন শূন্য হয়।
এরপর নির্বাচন কমিশন এই আসনের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী ও আওয়ামী লীগ মনোনীত হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারীসহ পাঁচজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। পরে ঋণখেলাপির কারণে কাদের সিদ্দিকীর প্রার্থিতা বাতিল করেন উচ্চ আদালত।
আসনটি মোট ১৩টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ সাত হাজার ৭০০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৫২ হাজার ৮৩৩ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৫৪ হাজার ৮৬৭ জন।