বাঁশখালীর নিহতের ঘটনায় পুলিশের মামলা
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে সংঘর্ষ ও এক ব্যক্তির নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে নিহত ব্যক্তির পরিবারও থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন। তবে পুলিশ বলেছে, একটিই মামলা নেওয়া হবে।
আজ শুক্রবার বাঁশখালী থানায় পুলিশ নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা দেড় থেকে দুইশো মানুষকে আসামি করা হয়। এদিকে সংঘর্ষে নিহত মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী রুমি আক্তার ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন। এতে ১ নম্বরে আছে গণ্ডামারা বসতভিটা রক্ষা কমিটির সমন্বয়কারী লেয়াকত আলীর নাম।
গত ১ ফেব্রুয়ারি উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নে কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালে ওই দিনই মারা যান মোহাম্মদ আলী।
জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ গণ্ডামারায় এক সুধী সমাবেশের আয়োজন করে। ওই সুধী সমাবেশে কয়েক হাজার লোক নিয়ে হাজির হন প্রকল্পের বিরোধিতাকারী গণ্ডামারা বসতভিটা রক্ষা কমিটির সমন্বয়কারী লেয়াকত আলী। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল মোস্তফা সংগ্রামের নেতৃত্বে লোকজন লেয়াকত আলীর মিছিল লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এর পরই উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
ওই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ লাভু।
বাঁশখালী থানায় শুক্রবার দায়ের করা মামলায় বাদী হয়েছেন উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান কায়কোবাদ।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, পুলিশ বাদী হয়ে নাম উল্লেখ না করে মামলা দায়ের করে। একই সঙ্গে ওই ঘটনা ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি এজাহার দায়ের করেছেন নিহত মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী রুমি আক্তার। সেখানে লেয়াকত আলীর নাম আছে।
ওসি আলমগীর জানান, মামলা একটিই হবে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।
উপজেলার গণ্ডমারা গ্রামে প্রায় ৬০০ একর জমির ওপর ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চীনের একটি প্রতিষ্ঠানসহ দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ মালিকানায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। গত বছরের ৪ এপ্রিল এ প্রকল্পের বিরোধিতা করে এলাকাবাসীর সমাবেশে হামলার ঘটনায় চারজন নিহত ও অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়।