শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে থাকায় শিশুকে চড় মারলেন অধ্যক্ষ
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় শহীদ মিনার চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকায় এক শিশুকে চড় মেরেছেন কলেজের এক অধ্যক্ষ। এতে শিশুটি অচেতন হয়ে পড়ে।
গতকাল সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে হাজিরহাট উপকূল ডিগ্রি কলেজের শহীদ মিনারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
শিশুটি হাজিরহাট সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক (শিশু) শ্রেণির ছাত্রী।
শিশুটিকে চড় মারা ব্যক্তির নাম আবদুল মোতালেব। তিনি হাজিরহাট উপকূল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কলেজের পাশেই একটি ভাড়া বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকে শিশুটি। গতকাল রাত সোয়া ৮টার দিকে মায়ের সঙ্গে কলেজ মাঠে যায় সে। সে সময় মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কলেজের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে দেশাত্মবোধক গান চলছিল। গানের সঙ্গে কয়েকটি শিশু নাচতে শুরু করে।
সে সময় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অধ্যক্ষকে দেখে অন্য শিশুরা পালিয়ে যায়। কিন্তু ওই শিশুটি শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে থাকে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কলেজ অধ্যক্ষ তাকে জোরে চড় মারেন।
শিশুটির বাবা বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল মোতালেব তাঁর পাঁচ বছরের মেয়েশিশুকে অন্যায়ভাবে মুখে চড় মেরেছেন। এতে কিছু সময় তাঁর মেয়ে অচেতন থাকে। তাৎক্ষণিকভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও চড়ের পর থেকে মেয়েটি জ্বরে ভুগছে।
ঘটনার পর সোমবার রাতেই কমলনগর থানায় অভিযোগ করতে গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) থানায় নেই জেনে ফিরে যান শিশুটির বাবা। এ বিষয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করবেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ আবদুল মোতালেব একপর্যায়ে সাংবাদিকদের ওপরও চড়াও হন। তিনি বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে শহীদ মিনার ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হয়। ওই সময় শিশুটি শহীদ মিনারে এসে দৌড়াদৌড়ি করে। এ কারণে তাকে আস্তে করে একটি চড় দেন তিনি।
কমলনগর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জাহাঙ্গীর জানান, শিশুটিকে নিয়ে তার বাবা থানায় গিয়েছিলেন। তবে ওসি থানায় নেই শুনে ফিরে গেছেন তিনি।