প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, মাদ্রাসাছাত্রীকে এলোপাতাড়ি কোপ
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ার এক মাদ্রাসাছাত্রীকে (১৬) কুপিয়েছে আরেক মাদ্রাসার ছাত্র। গত শনিবার সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে ওই ছাত্রী হাসপাতালে ভর্তি আছে। তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
হামলাকারী যুবকের নাম জাহেদুল ইসলাম। তিনি কক্সবাজার হাশেমিয়ার মাদ্রাসার ফাজিলের ছাত্র। পড়ালেখার পাশাপাশি চট্টগ্রামে একটি চাকরি করেন।
আহত ছাত্রীর নাম নাহিদা আক্তার। সে মহেশখালীর কালারমারছড়া আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাড়ি ফকিরজুম পাড়ায়।
গতকাল সোমবার এ ঘটনায় আহতের চাচা হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে ছয়জনের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় মামলা করেছেন। তাতে আসামি করা হয়েছে হোয়ানক পূর্ব হরিয়ারছড়া এলাকার জাহেদুল ইসলাম, মো. রাসেল, মো. সাইফুল, মাওলানা লোকমান হাকিম, মো. ওসমান ও মো. রিদুয়ানকে।
মামলার বাদী হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমার ভাতিজিকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় বখাটে জাহেদুল ইসলাম। তাতে রাজি না হওয়ায় জাহেদুল অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে নাহিদার শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষতবিক্ষত হয়।’ তিনি জানান, আহত নাহিদাকে প্রথমে মহেশখালীতে ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মামলার প্রধান আসামি জাহেদুল ইসলাম মহেশখালীর কয়েকজন সাংবাদিকের কাছে দাবি করেছেন, মেয়েটির সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর মধ্যে পরিবারের পক্ষ থেকে শাপলাপুরের একটি ছেলের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে ঠিক করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নিজে নিজে আঘাত করেছে মেয়েটি বলেও দাবি করেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি বলেন, ‘এত নির্মম-নিষ্ঠুরভাবে মেয়েটিকে কুপিয়েছে জাহেদুল, যা বলার ভাষা আমাদের নেই। একটাই দাবি, দোষী জাহেদুলকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।’
আজ মঙ্গলবার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সুলতান আহামদ সিরাজী জানান, নাহিদার মুখের ও কপালের কোপ অত্যন্ত মারাত্মক। অন্য আঘাতগুলোও কম গুরুতর নয়। তবে তার অবস্থা এখন আশঙ্কামুক্ত।
এ ছাড়া মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, ‘এ ঘটনায় এজাহার পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’