নব্য জেএমবির আধ্যাত্মিক নেতা এবার ৫ দিনের রিমান্ডে
নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন নব্য জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) আধ্যাত্মিক নেতা আবুল কাশেম ওরফে বড় হুজুরকে এবার পাঁচদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ শনিবার ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম আসামি আবুল কাশেমকে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম ওয়ারেজ কুরুনী খান পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ঢাকার অপরাধতত্ত্ব ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে গত ৩ মার্চ আবুল কাশেমকে সাতদিনের রিমান্ড দেন আদালত। গত ২ মার্চ রাত ১১টার দিকে রাজধানীর সেনপাড়া পর্বতা এলাকা থেকে নব্য জেএমবির আধ্যাত্মিক নেতা আবুল কাশেম ওরফে বড় হুজুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরদিন ৩ মার্চ শুক্রবার ডিএমপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জে অভিযানে নিহত গুলশান হামলার অন্যতম হোতা হিসেবে পরিচিত তামিম চৌধুরী ও আবুল কাশেমদের যৌথ প্রয়াসে ২০১৩ সালে বাংলাদেশে নব্য জেএমবির জঙ্গিবাদী কার্যক্রমের সূচনা হয়।
‘সে (আবুল কাশেম) সপরিবারে অনেক আগে থেকেই পুরাতন জেএমবির সঙ্গে জড়িত ছিল। সে নব্য জেএমবির বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট-সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রমে তার নিজস্ব মনগড়া ধর্মীয় মতবাদ প্রদান করে দলটিকে হিংস্র করে তোলে। ২০০৯ সালে জেএমবির একাংশের আমির মাওলানা সাইদুর রহমান গ্রেপ্তার হওয়ার পর সে বিদ্রোহী অংশ (নিউ জেএমবির) আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিল।’
নব্য জেএমবির প্রধান তামিম চৌধুরী, মারজান, হাতকাটা মাহফুজ, উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডার রাজীব গান্ধী ওরফে জাহাঙ্গীরসহ নব্য জেএমবির গুরুত্বপূর্ণ অনেক নেতা তাঁর অনুরক্ত ছিল। এর আগে গ্রেপ্তারকৃত অনেক জঙ্গি সদস্যের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছিল।