কুমিল্লা সিটিতে ব্যবধান গড়তে পারেন বস্তিবাসী
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে এবার গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন বস্তি এলাকার ভোটাররা। বস্তি এলাকার ৩৫ হাজারের বেশি ভোটারের সিদ্ধান্তে পাল্টে যেতে পারে নির্বাচনের ফল। আর তাই শেষ মুহূর্তে প্রার্থীদের নজর এখন বস্তিবাসী ভোটারদের দিকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উৎসবের নগরীতে পরিণত হওয়া কুমিল্লার বস্তিগুলোতেও লেগেছে নির্বাচনী হাওয়া। এই সিটি এলাকায় অন্তত ৫০টি বস্তি রয়েছে। এগুলোতে প্রায় ১২ হাজার পরিবারের বসবাস।
নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, বস্তির ভোটার সংখ্যা ৩৫ হাজারের বেশি। বস্তি ও অভিজাত এলাকার ভোটারের গুরুত্ব সমান হলেও নাগরিক সুবিধা থেকে বরাবরই বঞ্চিত বস্তিবাসী। তবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশনসহ জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করবেন এমন একজনকেই ভোট দিতে চান তাঁরা।
বস্তিবাসী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যাঁরা তাঁদের দেখবেন, উন্নতি করবেন, তাঁদেরই ভোট দেবেন। ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই তাঁরা প্রার্থীর যোগ্যতা বিবেচনা করবেন।
বস্তির এক বাসিন্দা বলেন, তাঁরা নৌকা-ধানের শীষ বোঝেন না। যিনি তাঁদের উন্নয়ন করবেন, বিপদে-আপদে যাঁকে পাশে পাবেন, তাঁকেই ভোট দেবেন।
বস্তির আরেক বাসিন্দা বলেন, যিনি জনগণের উপকার করবেন, এলাকার উন্নয়ন করবেন তাঁকেই ভোট দেওয়া হবে।
নির্বাচনী ফলে এসব ভোটার বিশেষ প্রভাব ফেলবেন বলে মনে করছেন বিশিষ্টজন।
বস্তি উন্নয়নবিষয়ক গবেষক আমিনুল ইসলাম বলেন, অতীতে যাঁরা মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁরা বস্তি উন্নয়নে দৃষ্টি দেননি। তাই এবার বস্তিবাসীর উন্নয়নে এগিয়ে আসবেন এমন একজনকেই তাঁরা ভোট দেবেন।
এদিকে, নির্বাচন সামনে রেখে বস্তির এসব নিম্নআয়ের মানুষের প্রতি আনাগোনা বেড়েছে প্রার্থীদের। প্রার্থীরাও বস্তির ভোটব্যাংকে বিশেষ দৃষ্টি রাখছেন আর শোনাচ্ছেন বস্তিবাসীর জন্য আগামীর স্বপ্নের কথা।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা বলেন, নারী নেত্রীদের নিয়ে কমিটি করা আছে। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেই পর্যায়ক্রমে বস্তির ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু বলেন, সাধারণ ভোটাররা জানেন কাকে ভোট দিলে ভালো হবে আর কাকে দিলে হবে না।
৩০ মার্চ, বৃহস্পতিবার কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে প্রভাবমুক্ত পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন, এমনটাই প্রত্যাশা বস্তির ভোটারদের।