কনস্টেবল ধর্ষণ : এএসআই তিনদিনের হেফাজতে
নারী পুলিশ কনস্টেবলকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার তাঁর সাবেক স্বামী ও পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কলিমুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের হেফাজত (রিমান্ড) মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মেহের নিগার সূচনা এ আদেশ দেন।
এর আগে বিকেল ৩টায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে এএসআই কলিমুরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক আলম মিয়া হাজির করে ১০ দিনের হেফাজতের আবেদন জানান। বিচারক তিনদিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন।
গতকাল বুধবার কক্সবাজারের কলাতলী এলাকা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল কালিমুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।
গত ১৩ জুন রাজধানীর তুরাগ থানায় কর্মরত এক নারী পুলিশ সদস্য তাঁর সাবেক স্বামী খিলগাঁও থানার সহকারী উপপরিদর্শক কলিমুর ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ আনেন।
ওই নারী পুলিশ সদস্যের ভাই বলেন, ২০১১ সালে তাঁর বোনের বিয়ে হয় খিলগাঁও থানায় কর্মরত ওই এএসআইয়ের সঙ্গে। ২০১৪ সালে তাঁদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তাঁদের ঘরে একটি সন্তানও রয়েছে। গত ১০ জুন বিকেল ৪টার দিকে এএসআই ফোন করে তাঁর বোনকে সব ঝামেলা মিটিয়ে নতুন করে সংসার করার কথা বলেন। পরে তাঁর বোন কথামতো সেদিনই বাসায় গেলে এএসআই ও তাঁর কয়েকজন সহযোগী মিলে বোনকে ধর্ষণ করেন। এর পরের দিন (বৃহস্পতিবার) ১১ জুন এ ঘটনায় খিলগাঁও থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি।
গত শুক্রবার (১২ জুন) রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে ভর্তি হলে ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার জন্য তাঁকে পরের দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গতকাল মঙ্গলবার হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওআইসি) জানায়, নারী পুলিশ সদস্যের ফরেনসিক প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত মিলেছে।
এএসআই কলিমুর বর্তমানে পুলিশের স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়নে (এসপিবিএন) কর্মরত আছেন।