শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে চার ইউনিয়ন প্লাবিত
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/04/22/photo-1492881003.jpg)
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার চারটি ইউনিয়ন আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে। আজ শনিবার সকাল থেকে মহারশী নদীর ভাঙা বাঁধ দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবেশ করতে শুরু করে।
আকস্মিক এই ঢলে ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়ন, ধানশাইল, মালিঝিকান্দা ও হাতিবান্ধা ইউনিয়নের প্রায় চার হাজার হেক্টর বোরো ফসল সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে।
এ ছাড়া নালিতাবাড়ী উপজেলার চেল্লাখালী নদীর ভাঙা বাঁধের অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে বেশ কয়েকটি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
ঝিনাইগাতীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ জেড এম শরীফ হোসেন জানান, শনিবার সকালে আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে উপজেলার চারটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৫০০ হেক্টর বোরো ধান সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
শরীফ হোসেন আরো জানান, চারটি ইউনিয়নের কাঁচা ঘরবাড়িও পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবার জেলায় মোট ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। কিন্তু পাহাড়ি ঢলের কারণে কৃষকরা বেশ ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
এদিকে সকাল থেকে ঝিনাইগাতী উপজেলার সদরের ইউএনও অফিস, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, কাঁচাবাজার, বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হাঁটু পর্যন্ত ঢলের পানি ওঠে। ঢলের আকস্মিকতায় অনেক দোকানপাটে পানি ওঠার ফলে জিনিসপত্র নষ্ট হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জানান, নদী শাসন না করা গেলে প্রতিবছরই এমন ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। প্রতিবছর পাহাড়ি ঢলে কৃষকের আবাদ নষ্ট করে, শহরের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ব্যাপারে অতিদ্রুতই নদীতে বাঁধ দেওয়া উচিত।