কোকেন মিলল বন্দরের সেই তেলের ড্রামে
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা সানফ্লাওয়ার তেলের নমুনা পুনঃপরীক্ষায় একটি ড্রামে তরল কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। আজ শনিবার শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) তানভির আরাফাত সাংবাদিকদের জানান, ‘আমদানি করা একটি ড্রামের তেলের নমুনা পুনঃপরীক্ষা করে তরল কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। ওই ড্রামে ১৮৫ কেজি তরল কোকেনের অস্তিত্বের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।’urgentPhoto
ঢাকায় বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) ও বাংলাদেশ ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে তেলের নমুনা দুবার পরীক্ষা করে এ ফলাফল পাওয়া যায় বলে জানান সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার।
ভোজ্য তেলের ঘোষণা দিয়ে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের একটি প্রতিষ্ঠান বলিভিয়া থেকে ভোজ্য তেলের কনটেইনারটি আমদানি করে। কনটেইনারের ১০৭টি ড্রামে দুই হাজার ১৪০ কেজি ভোজ্য তেল আমদানির ঘোষণা রয়েছে। আর এতে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নাম রয়েছে ‘খান জাহান আলী লিমিটেডের’। এসব ড্রামে তরল কোকেন রয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৬ জুন বন্দরের চিটাগং কনটেইনার টার্মিনালের (সিসিটি) তিন নম্বর ইয়ার্ডে জব্দ করা হয় কনটেইনারের এসব ড্রাম।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সোহেল নামে এক কর্মকর্তাকেও আটক করা হয়। পরে ৮ জুন চট্টগ্রাম বন্দর, সিএমপি পুলিশ, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও শুল্ক গোয়ন্দা সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কনটেইনারটি খোলা হয়।
তারপর স্থানীয়ভাবে ড্রামের তেল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হলেও এতে কোকেনের কোনো প্রমাণ মেলেনি। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ পরীক্ষায় সন্তুষ্ট ছিল না। ফলে একটি ড্রামের তেলের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয় পুনঃপরীক্ষার জন্য।
এদিকে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘খান জাহান আলী লিমিটেডের’ পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এ ধরনের চালানের ব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না। কেউ তাদের প্রতিষ্ঠানের প্যাড ব্যবহার করে এ কাজটি করতে পারে, যা তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হবে।