ঢাবির বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ এক ভাগের কম
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/06/27/photo-1435417696.jpg)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য ৪২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন করা হয়েছে। প্রতিবারের মতো এ বছরও গবেষণা খাতে অপ্রতুল বরাদ্দ রাখা হয়েছে। খাতটিতে এবার বরাদ্দের পরিমাণ মাত্র চার কোটি ৫০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা অর্থাৎ বাজেটের এক ভাগেরও কম (০.৯৫)।
এ বাজেটে মোট ৪১০ দশমিক ১৫ কোটি টাকার আয় ধরা হয়েছে। ফলে আগামী অর্থবছরে বাজেটে ঘাটতি হবে ১৫ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে।
শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সিনেটের অধিবেশন শুরু হয়।পরে বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন এ বাজেট উত্থাপন করেন। বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে বাজেটের অনুমোদন দেন ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন, নিবন্ধক সৈয়দ রেজাউর রহমান, সিনেট সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য উত্থাপিত বাজেটে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাবদ ২৫০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ধরা হয়েছে, যা মোট বাজেটের ৫৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ। শিক্ষা-সহায়ক খাতে ধরা হয়েছে ৫৫ কোটি ২৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, মোট বাজেটের ১২ দশমিক ৯৯ শতাংশ। পেনশন খাতে ৭০ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং সাধারণ আনুষঙ্গিক খাতে মোট বাজেটের ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ অর্থাৎ ৪০ কোটি ৯৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বাজেটে আয় হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে অনুদান হিসেবে পাবে ৩৭১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৯ কোটি টাকা। মোট ৪১০ দশমিক ১৫ কোটি টাকার আয় ধরা হয়েছে। বাজেট ঘাটতি থাকবে ১৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। বাজেট উত্থাপনের পর নির্ধারিত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন উপস্থিত সিনেট সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা।
এদিকে বাজেটের বক্তৃতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে জাতি, ভাষা, ধর্ম, অর্থনৈতিক অবস্থা, শারীরিক অসমর্থতা, সাংস্কৃতিক কিংবা কোনো সামাজিক বৈষম্যকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষিত ও দক্ষ গবেষক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাকে হতে হবে ব্যাপ্ত, জীবন, সমাজ ও সভ্যতার বিবিধ বিষয় আশ্রয়ী।