আপন জুয়েলার্সের মালিকদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে
আপন জুয়েলার্সে মজুদ স্বর্ণ ও ডায়মন্ড সংরক্ষণের ব্যাখ্যা জানাতে রাজধানীর কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে আপন জুয়েলার্সের তিন মালিক আসেন বলে জানান শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ শাফিউর রহমান।
আপন জুয়েলার্সের তিন মালিকরা হলেন দিলদার আহমেদ, গোলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদ।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করা হবে বলে জানান মোহাম্মদ শাফিউর রহমান।
গত ২৮ মার্চ রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী। পরে ৬ মে বনানী থানায় মামলা করেন ওই দুই ছাত্রীর একজন। মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরের দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা রেইনট্রি হোটেলে মামলার বাদী এবং তাঁর বান্ধবী ও বন্ধু শাহরিয়ারকে আটক রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন এবং অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। বাদী ও তাঁর বান্ধবীকে জোর করে ঘরে নিয়ে যান আসামিরা। বাদীকে সাফাত আহমেদ এবং বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
গত ১১ মে মামলার আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ ও তাঁর বন্ধু সাদমান সাকিফকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল সোমবার সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলীকে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে এবং নবাবপুর রোডের ইব্রাহিম হোটেল থেকে গাড়িচালক বিল্লালকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাফাতকে ছয়দিন, সাকিফকে পাঁচদিন, বিল্লালকে চার দিন এবং রহমত আলীকে তিন দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন
এরপর গত রোববার শুল্ক গোয়েন্দার দল আপন জুয়েলার্সের গুলশান, উত্তরা, মৌচাক ও সীমান্ত স্কয়ারের শাখায় অভিযান চালিয়ে ২৮৬ কেজি স্বর্ণ ও ৬১ গ্রাম ডায়মন্ড ব্যাখ্যাহীনভাবে মজুদ রাখার দায়ে সাময়িক আটক করে।
আপন জুয়েলার্স ও বনানীর রেইনট্রি হোটেল মালিকদের তলব করে গত ১৫ মে চিঠি দেয় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।