ঘর থেকে ধরে এনে কুপিয়ে হত্যা, লাশ নদীতে
নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় এক ব্যক্তিকে ঘর থেকে ধরে এনে হত্যার পর লাশ বস্তায় পাথর বেঁধে নদীতে ডুবিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। গত শনিবার উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের দেবকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কয়েক দফা চেষ্টা চালিয়েও পুলিশ এখনো সেই লাশ উদ্ধার করতে পারেনি। এখন লাশ ভেসে উঠার অপেক্ষায় আছে পুলিশ।
নিহত রুহুল আমিন (৪০) উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের চুরেরভিটা গ্রামের মৃত এলাহি নেওয়াজের ছেলে।
গত শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাশের দেবকান্দা গ্রামে প্রতিপক্ষের লোকজন সালিশ থেকে তাড়া করে রুহুল আমিনকে। এ সময় তিনি প্রাণ রক্ষায় পাশের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। পরে সেখান থেকে তাঁকে ধরে এনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে তাঁর লাশ নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শিল্পী আক্তার বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৩৫ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় দেবকান্দা গ্রামের নাজিম উদ্দিন (৩২), তারা মিয়াকে (৫০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পূর্বধলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শওকত আলী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘নদীতে প্রচণ্ড স্রোত। ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরিরা লাশ উদ্ধারে দুই দিন চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। আমরা স্থানীয় পদ্ধতিতেও চেষ্টা করেছি। জাল ফেলে, নদীর এপার-ওপার রশি টানা দিয়ে এতে বর্শি লাগিয়ে লাশটির খোঁজ করেছি। কিন্তু পাইনি।’
‘স্থানীয় মানুষসহ আশপাশের থানায় জানানো হয়েছে, লাশটি ভেসে ওঠার পর নজরে আসার সাথে সাথে যেন পুলিশকে জানানো হয়। আশা করছি, লাশটি ভেসে উঠবে।’
পরিদর্শক আরো জানান, ২০-২৫ দিন আগে রুহুল আমিনের সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাশের দেবকান্দা গ্রামের গনি মেম্বারের ভাই আব্দুল হামিদের কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। শনিবার স্থানীয় রুহালী বিলের জমি নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে বিরোধ মীমাংসার জন্য দেবকান্দা গ্রামে সালিশ বসে। সালিশে রুহুল আমিন ও প্রতিপক্ষ আব্দুল হামিদ উপস্থিত ছিলেন।
সালিশের একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ রুহুল আমিনকে তাড়া করে। আত্মরক্ষার্থে রুহুল আমিন দেবকান্দা গ্রামে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয় নেন। দুর্বৃত্তরা সেখান থেকে রুহুল আমিনকে ধরে এনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর লাশ বস্তায় ভরে পাথর বেঁধে বাড়ির পাশের কংশ নদীতে ফেলে দেয়।