আপন জুয়েলার্স থেকে স্বর্ণালংকার নিলেন ৮৫ জন
আপন জুয়েলার্সের ১৮২ জন গ্রাহকের মধ্যে ৮৫ জন নিজেদের স্বর্ণালংকার ফেরত নিয়েছেন। আজ সোমবার ওই জুয়েলার্সের পাঁচটি শাখায় উপস্থিত থেকে তাঁরা এসব স্বর্ণালংকার গ্রহণ করেন। এ সময় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গ্রাহকদের স্বর্ণালংকার বুঝে ফেরত নেওয়ার দিন ছিল আজ। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দীপা রানী হালদার স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গ্রাহকদের জানানোর দায়িত্ব দেওয়া হয় আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষকে।
গত বৃহস্পতিবার ওই গ্রাহকদের দোকানের রসিদ ও পরিচয়পত্রসহ উপস্থিত থাকতে বলা হয়। গত ২২ মে গ্রাহকের গচ্ছিত সোনা বা অন্যান্য অলংকার ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুল্ক গোয়েন্দার কাছে আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র সরবরাহ করতে না পারায় গ্রাহকদের অলংকার ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে আবার আজকের দিন ধার্য করা হয়।
এ দিন সকাল সোয়া ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত গ্রাহকদের সময় দেওয়া হয়। গ্রাহকদের রসিদ ও পরিচয়পত্রসহ ওই সব শাখায় উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়।
এ সময় রাজধানীর আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শাখায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির প্রতিনিধি, আপন জুয়েলার্সের প্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আপন জুয়েলার্সের উত্তরা শাখায় ১৫ জন, সুবাস্তু ইমাম স্কয়ার শাখায় ১৩ জন, গুলশান ডিসিসি মার্কেট শাখায় ১৫ জন, মৌচাক শাখায় ১৯ জন এবং সীমান্ত স্কয়ার শাখায় ২৩ জনসহ মোট ৮৫ জন গ্রাহক উপস্থিত হয়ে তাঁদের স্বর্ণালংকার বুঝে নেন। ওই ৮৫ জন মোট দুই দশমিক ৩৩ কেজি সোনা গ্রহণ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় আপন জুয়েলার্সের কর্তৃপক্ষকে জব্দ করা স্বর্ণালংকারের বৈধ কাগজপত্র দেওয়ার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিন জব্দ করা সোনার বিষয়ে আইনানুগভাবে নিষ্পত্তি করা হবে।
গত ১৪ ও ১৫ মে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ আপন জুয়েলার্সের গুলশানের দুটি শাখা, উত্তরা, মৌচাক ও সীমান্ত স্কয়ারের শাখায় অভিযান পরিচালনা করে সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণালংকার ও ৪২৭ গ্রাম হীরা অবৈধভাবে মজুদ রাখার দায়ে সাময়িকভাবে আটক করে। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় এবং আমদানি ও ক্রয়ের উৎস সন্দেহজনক হওয়ায় সেগুলো সাময়িকভাবে জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে ওই শাখাগুলো সিলগালা করে দেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।