শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলা : এক বছরেও শেষ হয়নি তদন্ত

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদগাহসংলগ্ন এলাকায় গত ঈদুল ফিতরে জঙ্গি হামলার এক বছর পূর্তি হচ্ছে ৭ জুলাই। এর আগেই উদযাপিত হবে আরেকটি ঈদুল ফিতর। মাঝখানে প্রায় এক বছর হয়ে গেলেও এখনো আদালতে দাখিল করা হয়নি এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন।
মামলার তিনজন আসামি কারাগারে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী নামের এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন আসামি দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছেন।
জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী জবানবন্দিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার মদদদাতা, অস্ত্রদাতা, অর্থদাতা ও আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের নাম-পরিচয়ও জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুর্শেদ জামান জানান, মামলার তদন্ত এখনো চলছে।
এরই মধ্যে বেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, শিগগিরই অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।
রাজীব গান্ধী ছাড়াও এ মামলায় আটক রয়েছেন গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পান্থাপাড়া গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেন ও কিশোরগঞ্জ শহরের পশ্চিম তারাপাশা গ্রামের জাহিদুল হক তানিম।
এ ছাড়া জঙ্গি হামলায় জড়িত তামিম চৌধুরী, মেজর জাহিদ, আকাশ, মারজানসহ আরো কিছু আসামি দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জঙ্গিবিরোধী অভিযানের সময় নিহত হয়েছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত বছর ঈদুল ফিতরের দিন শোলাকিয়া ঈদগাহের পশ্চিম দিকে আজিমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে।
এ সময় পুলিশ কনস্টেবল আনসারুল হক ও জহিরুল ইসলাম, স্থানীয় বাসিন্দা গৌরাঙ্গ দেবনাথের স্ত্রী ঝর্ণা রানী ভৌমিক ও আবির রহমান নামের এক জঙ্গি নিহত হন।