হানিফ পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজারের জবানবন্দি
কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহারকে অপহরণ মামলায় হানিফ পরিবহনের খুলনার শিববাড়ীর কাউন্টার ম্যানেজার নাজমুস সাদাত সাদী আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. মাহবুবুল হক ঘটনার সাক্ষী হিসেবে নাজমুস সাদাতকে হাজির করে জবানবন্দি নেওয়ার আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম খুরশীদ আলমের আদালতে সাক্ষী নাজমুস সাদাত জবানবন্দি দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) নিজাম আহমেদ এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সাক্ষী নাজমুস সাদাত আদালতে বলেন, গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গফুর পরিচয়ে ফরহাদ মজহার রাত সোয়া ৯টার বাসে (ঢাকা-মেট্রো-১৪-৯৮০১ ও কোচ নম্বর ৫০৫) খুলনার শিববাড়ীর কাউন্টার থেকে ঢাকার টিকেট কাটেন। তিনি আই-থ্রি আসন নির্বাচন করেন। বাসের টিকেটের মূল্য ছিল এক হাজার ৩০০ টাকা। এ সময় তাঁর কাছে একটি ব্যাগ ছিল। এরপর তিনি কিছুক্ষণ ঘুরেফিরে সেখান থেকে চলে যান।
এর আগে গত মঙ্গলবার বেলা পৌনে ৩টায় আদাবর থানার পুলিশ ফরহাদ মজহারকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে হাজির করে। তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় ঢাকার মহানগর হাকিম আহসান হাবিবের আদালতে ঘটনার বিবরণ দিয়ে জবানবন্দি দেন।
গত সোমবার রাতে যশোরের নওয়াপাড়া থেকে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধারের পর পরদিন মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আদাবর থানায় নিয়ে আসা হয়।
এর আগে সোমবার বিকেলে ফরহাদ মজহারের বন্ধু গৌতম দাস সাংবাদিকদের জানান, সোমবার ভোর ৫টার দিকে শ্যামলী রিং রোডের ১ নম্বর বাসার সামনে থেকে কে বা কারা ফরহাদ মজহারকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে।
‘উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া’র আধা ঘণ্টা পর ফরহাদ মজহারের মোবাইল ফোন থেকে তাঁর স্ত্রী ফরিদা আখতারের কাছে টেলিফোন আসে। ফোনে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’ এ কথা বলেই তিনি ফোনটি কেটে দেন। এরপর বিষয়টি আদাবর থানার পুলিশকে জানানো হয় বলে জানান গৌতম।