রিমান্ড শেষে তুফান ও রুমকি কারাগারে
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/08/06/photo-1502018116.jpg)
বগুড়ায় ছাত্রীকে ধর্ষণের পর মা-মেয়েকে নির্যাতনের ঘটনায় তুফান সরকার ও তাঁর স্ত্রীর বোন সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মার্জিয়া আক্তার রুমকিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তুফানের সাতদিন ও রুমকির পাঁচদিন রিমান্ড শেষে আজ রোববার তাঁদের বগুড়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম শ্যাম সুন্দর রায়ের আদালতে হাজির করে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই চাঞ্চল্যকর মামলার প্রধান আসামি তুফান সরকার ও মার্জিয়া আক্তার রুমকিকে দুইদিনের পুলিশ রিমান্ড শেষে আমরা বিজ্ঞ আদালতে হাজির করেছিলাম। পুনরায় পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আমরা আবেদন করেছিলাম। বিজ্ঞ আদালত রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের বক্তব্য শুনে রিমান্ড নামঞ্জুর করেছেন। আসামিরা জামিনের প্রার্থনা করেছিলেন। কিন্তু বিচারক জামিন নামঞ্জুর করেছেন। তবে আসামিদের সাতদিনের মধ্যে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদেশ দিয়েছেন।’
বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের সাময়িক বহিষ্কৃত আহ্বায়ক তুফান সরকারকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ প্রথম দফায় তিনদিন, পরে দুইদিন করে চারদিনসহ মোট সাতদিন রিমান্ডে নেয়। অন্যদিকে কাউন্সিলর রুমকিকে প্রথম দফায় তিনদিন, পরে আরো দুইদিন রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামি তুফান সরকার ও তাঁর সহযোগীরা এসএসসি পাস এক ছাত্রীকে ভালো কলেজে ভর্তি করার কথা বলে গত ১৭ জুলাই শহরের নামাজগড় এলাকায় তাঁদের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে এ ঘটনা কাউকে না জানাতে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। ধর্ষণের ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে গত ২৮ জুলাই বিকেলে তুফান সরকারের স্ত্রী আশা ও তাঁর বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া আক্তার রুমকিসহ কয়েকজন মিলে ওই ছাত্রী ও তাঁর মাকে বেধড়ক পিটিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দেন। তাঁদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।