শিশু রাজন হত্যা : আরেক আসামি গ্রেপ্তার
সিলেটের শিশু শেখ সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার আরেক আসামি দুলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে শহরতলির শেখপাড়া থেকে এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় দুলালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার শুরুতে দুলালের নাম এজাহারে না থাকলেও রাজনকে পিটিয়ে হত্যার ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে এজাহারে নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে জালালাবাদ থানায় নেওয়া হয়।
গত ৮ জুলাই সিলেট শহরতলির কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডে প্রকাশ্যে রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় নির্যাতনের ভিডিওচিত্রও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। লাশ গুম করার সময় স্থানীয় লোকজন হাতেনাতে আটক করেন সিলেট সদর উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মুহিত আলমকে। পরে মুহিতকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় মুহিত, তাঁর ভাই কামরুল ইসলাম, আলী হায়দার ও স্থানীয় চৌকিদার ময়না মিয়া লালকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন রাজনের বাবা।
মুহিতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার পাঁচদিনের হেফাজতে (রিমান্ড) নিয়েছে পুলিশ। ওই দিন মুহিতের স্ত্রী লিপি বেগম ও আত্মীয় ইসমাইল হোসেন আবলুসকে পৃথক স্থান থেকে আটক করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় পরে লিপিকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ ঘটনার পর আরেক আসামি কামরুল ইসলাম পালিয়ে সৌদি আরব চলে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সেখানে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহায়তায় সোমবার তাঁকে আটক করা হয়। এ ছাড়া গতকাল মঙ্গলবার রাতে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি চৌকিদার ময়না মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।