বগুড়ায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/08/17/photo-1502971160.jpg)
বগুড়ার সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে। আজ বৃহস্পতিবার যমুনার পানি বিপৎসীমার ১২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল বুধবারের চেয়ে তা তিন সেন্টিমিটার কম।
পানির অব্যাহত চাপের কারণে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্টে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাটল, ইঁদুরের গর্ত এবং দুর্বল অংশে পানি চুইয়ে পড়ায় বাঁধ ক্রমেই ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। এ কারণে বন্যায় বাঁধের ওপর আশ্রয় নেওয়া লোকজনকে বাঁধ ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে অনুরোধ জানিয়ে মাইকিং করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমীন জানান, যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বগুড়া পরিচালন ও সংরক্ষণ বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন ৪৫ কিলোমিটার ব্রহ্মপুত্র বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের (বিআরই) বিভিন্ন পয়েন্ট হুমকির মুখে পড়েছে। ফাটল, ইঁদুরের গর্ত (র্যাটহোল) এবং দুর্বল অংশে পানি চুইয়ে (সিপেস) পড়ায় বাঁধ ক্রমেই ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। তবে বাঁধরক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
ওই বাঁধের (সারিয়াকান্দি অংশ) ওপর বসবাসকারী ১৫ হাজার পরিবার চরম আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সারিয়াকান্দি উপজেলার গোদাখালী, ইছামারা, রৌহাদহ, কুতুবপুর, শেখপাড়া, দীঘলকান্দি, হাটশেরপুর, পারতিতপরল এবং ধুনট উপজেলার শহরাবাড়ি ও ভাণ্ডারবাড়ী পয়েন্টে বাঁধের অবস্থা বেশ নাজুক।
লোকালয় অংশের (কান্ট্রি সাইড) চেয়ে নদীমুখ অংশের (রিভার সাইড) পানি প্রায় আট ফুট উচ্চতায় থাকায় ওই পয়েন্টে দুর্বল বাঁধ ভেঙে যে কোনো মুহূর্তে লোকালয়ে পানি প্রবেশের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বাঁধের যে কোনো পয়েন্ট ভেঙে গেলে নদী তীরবর্তী সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলা ছাড়াও শেরপুর ও গাবতলী উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়।
এ ছাড়া ৫৯টি প্রাথমিক ও সাতটি মাধ্যমিক স্কুলের পাঠদান স্থগিত আছে। পাঁচ হাজার ৬৮৭ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে আছে। এ ছাড়া এসব অঞ্চলে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও গবাদি পশুর খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে।