বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে : ডিএমপি কমিশনার
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/13/ddiempi_kmishnaar.jpg)
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষিতে রুজুকৃত মামলাগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করতে হবে। মামলা তদন্তে অগ্রগতির পাশাপাশি মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়াতে হবে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজারবাগস্থ বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে জানুয়ারি মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ডিএমপির পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযান শুরু হয়েছে। গত ১৫ বছরে যারা গুম, লুটপাট, চাঁদাবাজি ও গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিল তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তারে আরও বেশি তৎপর হতে হবে। ডিএমপির থানা ও ফাঁড়িগুলোকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্ববোধ ও আগ্রহ থেকে সকলকে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে।
কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ঢাকা শহরের বড় সমস্যা হচ্ছে যানজট। একটি রাস্তা বন্ধ হলে অন্য রাস্তাগুলো বন্ধ হয়ে যায়। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন রাস্তা বন্ধ করে সরকারের কাছে তাদের দাবি জানাচ্ছে। রাস্তা বন্ধ করে দাবি আদায়ের এ চর্চা বন্ধ করতে হবে। ওভার স্পিড নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে ট্রাফিক বিভাগকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন ডিএমপি কমিশনার।
এ সময় অপরাধ সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার বলেন, ঢাকা মহানগরীর শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানচলাচল নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক বিভাগ ও ক্রাইম বিভাগকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। ট্রাফিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণকে মাঠ পর্যায়ে থেকে ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে হবে। দায়িত্ব পালনে কোনো গাফিলতি পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পুলিশের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেড়ে গেছে। আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে সবাইকে প্রাপ্য সর্বোচ্চ আইনানুগ সেবাটা দিতে হবে।
অপরাধ পর্যালোচনা সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ, ডিএমপির সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।