পাহাড় ও দেয়াল ধসে পাঁচ শিশুসহ নিহত ৬
চট্টগ্রামে পাহাড় ও দেয়াল ধসে পাঁচ শিশু ও এক নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া প্রবল বর্ষণে নগরীর বেশির ভাগ এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। সরকারিভাবে নেওয়া নানা উদ্যোগের পরও পাহাড়ের পাদদেশ এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজন সরে না আসায় পাহাড় ধসে মৃত্যৃর সংখ্যা বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
ঈদের দিন সকাল থেকে একটানা বৃষ্টিতে নগরীতে পাহাড় ধস ও দেয়াল ধসের ঘটনায় এ পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যু ও চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আমিন জুটমিল এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে দুটি কাচা ঘরের ওপর মাটি ধসে মারা যায় একই পরিবারের তিন শিশু। নিহতরা হলো ১২ বছর বয়সী আরাফাত হোসেন, পাঁচ বছরের সালমা বেগম ও ১৬ মাস বয়সী বিবি মরিয়ম। একই সময় লালখান বাজার এলাকায় মা ও শিশুসহ তিনজনের প্রাণহানি হয়। প্রবল বর্ষণের সময় পাহাড়ে গড়ে উঠা একটি দেয়াল ধসে মা মরিয়ম বেগম ও শিশুকন্যা সুরাইয়া আক্তার এবং পাশের ঘরের আখি আক্তার নামের অপর শিশু মারা যায়। পাহাড় কেটে ঘর ও দেয়াল তৈরিসহ নানা কারণে এব দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় স্থানীয় লোকজন।urgentPhoto
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার আবদুল জলিল মণ্ডল বলেন, শনিবার সকাল থেকে প্রবল বর্ষণে নগরজুড়ে জলাবদ্ধতা ও দীর্ঘদিন ধরে চলা ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকা থেকে লোকজন সরিয়ে নিতে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার ব্যর্থতায় মৃত্যুর ঘটনা বেড়ে চলেছে।
বর্ষার আগে পাহাড়কে ঝুঁকিপূর্ণ করার নানা উদ্যোগ কিছুটা সুফল পাওয়া গেলে প্রশাসনের অগোচরে পাহাড়ের পাদদেশে আস্তানার কারণে পাহাড় ধসের এ ঘটনা ঘটছে বলে জানান পাহাড় ব্যবস্হাপনা কমিটি।
জেলা প্রশাসনের পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেন বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে লোকজনকে সরানোসহ সরকারের নানা উদ্যোগের পরও মৃত্যুর ঘটনার লাগাম টেনে ধরতে জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন আরো উদ্যোগী হবেন।
দুই হাজার সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ২৬০ জন পাহাড় ধসে নিহত হয়েছে। ২০০৭ সালের ১১ জুন সর্বোচ্চ ১২৭ জন লোক পাহাড় ধসে মারা যায়। ঝুকিপূর্ণ পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে প্রতি বছর নানা উদোগ নেওয়া হলেও মৃত্যুর সংখ্যা কমছে না।