কাল শহীদ মিনারে আবদুল জব্বারকে শ্রদ্ধা

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী আবদুল জব্বারকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হবে।
আজ বুধবার শিল্পীর স্ত্রী হালিমা জব্বার এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিল্পী আবদুল জব্বার আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মারা যান।
শিল্পী আবদুল জব্বারের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গভীর শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
শিল্পীর স্ত্রী হালিমা জব্বার জানান, শিল্পী আবদুল জব্বারের মরদেহ বিএসএমএমইউ থেকে গোসলের জন্য মোহাম্মদপুর নেওয়া হবে। সেখান থেকে নেওয়া হবে তাঁর বাসায়। এরপর বারডেমের হিমঘরে রাখা হবে শিল্পীকে।
দুপুরে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর জানান, সকাল সাড়ে ৯টায় বাংলাদেশ বেতারে শিল্পী আবদুল জব্বারের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিল্পীর মরদেহ রাখা হবে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।
শ্রদ্ধা প্রদর্শন শেষে বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে আবদুল জব্বারের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিকেলে আবদুল জব্বারকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
গত শনিবার রাত থেকেই লাইফ সাপোর্টে ছিলেন আবদুল জব্বার। তাঁর খাওয়া-দাওয়া বন্ধ ছিল।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ইকবাল আর্সলান বলেছিলেন, ‘শনিবার রাত থেকেই আবদুল জব্বার সংজ্ঞাহীন হয়ে কোমায় আছেন। তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তাঁর রক্তচাপ দ্রুতই নেমে যাচ্ছে। শরীরের অন্য অর্গানগুলোও কাজ করছে না। তাই অবস্থা একদমই ভালো নয়।’
শিল্পী আবদুল জব্বার বিএসএমএমইউর কেবিন ব্লকের ৬২০ নম্বর কক্ষে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন। চলতি বছরের ৩১ মে তিনি হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা তাঁকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আবদুল জব্বার গলায় হারমোনিয়াম ঝুলিয়ে সারা কলকাতার ক্যাম্পে ক্যাম্পে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ করেছেন। তিনি সে সময়ে পাওয়া ১২ লাখ টাকা স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ তহবিলে দান করেছিলেন। তিনি স্বাধীনতা পদক, একুশে পদকসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পদক পেয়েছেন।