অর্থপাচারকারীদের চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেই : টিআইবি
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/09/17/photo-1505662586.jpg)
যারা বড় অঙ্কের অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় না এনে সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। দুর্নীতিবাজদের বিচারের ঘাটতি রয়েছে বলেও অভিমত সংস্থাটির।
আজ রোববার সকালে রাজধানীতে টিআইবি কার্যালয়ে টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট ১৬ : দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন সংশ্লিষ্ট লক্ষ্যের ওপর বাংলাদেশের প্রস্তুতি, বাস্তবতা ও চ্যালেঞ্জ বিষয়ে গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানায় সংস্থাটি।
এসডিজি '১৬ বাস্তবায়নে কিছু ঘাটতি সত্ত্বেও বাংলাদেশ আইন, নীতি ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তুতি যথেষ্ট বলে অভিমত টিআইবির।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অর্থ পাচার ও দুর্নীতি রোধ এবং নাগরিকের মৌলিক স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণে যথেষ্ট ঘাটতি আছে বলে পর্যবেক্ষণ টিআইবির। ফলে সংস্থাটি মনে করছে এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘যারা বড় ধরনের অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত তাদেরকে কিন্তু কোনোভাবে বিচারের আওতায় আনা বা চিহ্নিত করার কোনো সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ আমরা দেখতে পাই না।’
দেশের বড় দুর্নীতিবাজদের বিচারের ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করে টিআইবি। আর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছানোর ক্ষেত্রেও যথেষ্ট ঘাটতি আছে বলে মনে করে তারা।
টিআইবির চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল বলেন, ‘আমরা এখন বলছি আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছি, উন্নয়নের মহাসড়কে হাঁটছি। কিন্তু এখনো আড়াই কোটি মানুষ কিন্তু অপুষ্টিতে ভুগছে। তার মানে যত কিছুই আমরা করছি সেটা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাচ্ছে কি না, জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে কি না, জনগণ সেখানটায় নিজের অবস্থানটাকে দেখতে পাচ্ছে কি না পরিষ্কার করে সেটা দেখার একটা ব্যাপার আছে।’
সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর সদস্য নিয়োগে স্বচ্ছতা, তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিল, বৈদেশিক অনুদান আইনের সংস্কারসহ বেশ কিছু সুপারিশ করেছে টিআইবি। এসডিজি সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে বলে মনে করে সংস্থাটি।