জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/07/27/photo-1437964078.jpg)
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ শয্যা থেকে সম্প্রসারণ করে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও চিকিৎসক ও নার্স সংকটের কারণে অতিরিক্ত রোগীদের যথাযথ সেবা দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যাত্রা শুরু হয় ৩১ শয্যা দিয়ে। দীর্ঘদিন থেকে চিকিৎসক সংকটসহ নানা সমস্যা ছিল ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ওই সময় ১৪ জন ডাক্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন।
সম্প্রতি রোগীর চাপ ও প্রয়োজনের কারণে সরকার হাসপাতালটিকে সম্প্রসারণ করে জরুরিভাবে ৫০ শয্যায় উন্নীত করে। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ৫০ শয্যার জন্য ২৯ জন চিকিৎসক প্রয়োজন হলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন ১৪ জন। এর মধ্যে চারজন পরামর্শক (কনসালটেন্ট) থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে মেডিসিন, শল্য ও আবাসিক চিকিৎসকের পদ শূন্য আছে। অন্যদিকে নার্স ও আয়াদের সংখ্যাও বাড়ানো হয়নি। ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের জন্য বরাদ্দকৃত নার্স ও আয়াদেরই ৫০ শয্যার হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। রোগীর চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় এ জনবল নিয়ে কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়া যথাযথ নর্দমা ব্যবস্থা ও অপরিচ্ছন্ন নর্দমার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই হাসপাতালের আঙিনায় পানি জমে যায়। জনবল সংকটের পাশাপাশি এখন এ সমস্যাও তীব্র। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করা একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ বিল, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পানিনিষ্কাশনের জন্য প্রতিবছর পৌর কর্তৃপক্ষকে চার লাখ টাকা পরিশোধ করছেন। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষ সে দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না। এ অবস্থায় রোগী, চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের হাসপাতালে আসা ও যাওয়ায় মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আমীন আহমেদ খান বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আন্তরিকতার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার কিছুটা উন্নয়ন হয়েছে। চিকিৎসকসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বিষয়ে সংকট পূরণের বিষয়টি সরকারের প্রক্রিয়াধীন। এ কারণে বিদ্যমান সংকট অব্যাহত রয়েছে।’