পাবনার চলনবিলে কক্সবাজারের আমেজ
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/07/28/photo-1438041630.jpg)
চলনবিলের মাঝের একটি বিল। নাম তার বড়বিলা। বিলের মাঝ দিয়ে চলে গেছে ভেড়ামারা-পাবনার সংযোগ স্থাপনকারী গয়েশপুর পাকা সড়ক। সড়কের হাটগ্রাম স্থানে বিপুল জলরাশির মাঝে দিগন্ত বিস্তৃত তীর। স্থানীয়রা সেটির নাম দিয়েছে ‘সোনালি সৈকত’। সেখানে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের ছোঁয়া পেতে প্রতিদিনই ছুটে যাচ্ছে শত শত মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাবনার ফরিদপুর উপজেলার ভেড়ামারা থেকে ১০ মিনিটের পথ পেরিয়ে হাটগ্রামে পৌঁছাতে এখন বেগ পেতে হয়। মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানে গোটা সড়ক জ্যাম। সড়কের দুই পাশে সারি সারি দোকান। শেষ বিকেলে মানুষ আর মানুষ—শিশু থেকে বুড়ো। সড়কের দুই পাড়ে আছড়ে পড়ছে বিলের ছোট ছোট ঢেউ। যেন কক্সবাজার, কুয়াকাটা সৈকতের প্রতিচ্ছবি।
হাটগ্রামে আসা বিশেষ ব্যক্তিদের বসার জন্য কলাগাছের এক বিশাল ভেলা বানানো হয়েছে। এটি এতটাই বিশাল যে, সেখানে একসঙ্গে ৩০০ মানুষ চেয়ার পেতে অনায়াসে বসতে পারে।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একসময় এই এলাকা ছিল দুর্গম। সড়ক ছিল না। ছিল চরমপন্থীদের অভয়ারণ্য। এখন সব বদলে গেছে।
শুধু পাবনা থেকেই নয়, পাশের জেলা সিরাজগঞ্জ, নাটোর থেকেও মানুষ ছুটে যাচ্ছে সোনালি সৈকতের নির্মল বাতাস নিতে। শত শত ডিঙি নৌকায় চড়ে তারা উপভোগ করছে প্রকৃতির অনাবিল সৌন্দর্য।
এবার ঈদে পাবনাবাসীর জন্য চলনবিলের এই স্থান এনেছে ভিন্নমাত্রা। কক্সবাজার আর কুয়াকাটার বিকল্প হিসেবে তারা এটিকে বেছে নিয়েছে। তাদের ধারণা, সরকার উদ্যোগী হলে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ হতে পারে এই সোনালি সৈকত।