আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, প্রধান বিচারপতির ছুটিতে যাওয়ায় বিএনপির কোনো গভীর ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। এ কারণে এখন উদ্বিগ্ন হয়ে তারা উন্মাদের মতো আচারণ করছে।

আজ শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণসংবর্ধনার প্রস্তুতি দেখতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন হানিফ।

‘প্রধান বিচারপতি একজন মানুষ, তিনি অসুস্থ হতেই পারেন। এ নিয়ে বিএনপি বিচলিত কেন?’ এমন প্রশ্ন রাখেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।

হানিফ বলেন, শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া গণসংবর্ধনা কোনো রাজনৈতিক শোডাউন নয়। রোহিঙ্গা সমস্যা সফলভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরা এবং দেশের সার্বিক উন্নয়েনের রূপকার হিসেবেই এ সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ‘এ গণসংবর্ধনা আওয়ামী লীগ সভাপতির প্রতি মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার প্রতীক। ৮০ শতাংশের বেশি মানুষের আস্থা এখন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি। তাই যেকোনো নির্বাচনেই বিজয়ী হওয়ার ক্ষমতা রাখে আওয়ামী লীগ। বিএনপির মতো ষড়যন্ত্রকারীদের পক্ষে জনগণ থাকবে না।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, যানজট রোধে দলীয় নেতাকর্মীদের সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে ফুটপাতে অবস্থান নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এ কে এম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য এস এম কামাল হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শিখর প্রমুখ।

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন শেষে আগামীকাল শনিবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারের জোরালো অবস্থান তুলে ধরায় এবং আন্তর্জাতিক মহলে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান প্রশংসিত হওয়ায় তাঁকে সংবর্ধনা দেবেন আওয়ামী লীগসহ বিশিষ্ট নাগরিকরা।

বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাবে আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনসহ ১৪ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা। এরই মধ্যে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো সাজানো হয়েছে ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ডে।