সাক্ষীরা আসতে চান না, আইওর অভিযোগ
মুন্সীগঞ্জের মাওয়া লঞ্চঘাটের অদূরে পদ্মা নদীতে এম এল পিনাক-৬ লঞ্চডুবির এক বছর পূর্ণ হলো আজ ৪ আগস্ট। ওই ঘটনায় মামলা হলেও তা সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রমেই থমকে আছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার অভিযোগ, কেউ সাক্ষ্য দিতে না আসায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ অধিকাংশ সাক্ষীর বাড়ি অন্য জেলায়।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ৪ আগস্ট শতাধিক যাত্রীবোঝাই করে মাদারীপুরের কাওরাকান্দি ঘাট থেকে ছেড়ে মাঝিবাড়ী ঘাটে যায় পিনাক-৬ লঞ্চ। সেখান থেকে আরো যাত্রী লঞ্চে নেওয়া হয়। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ঘাটের কাছাকাছি বৈরী আবহাওয়া ও ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে যায় লঞ্চটি। আজ পর্যন্ত লঞ্চটির সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ওই ঘটনার পর মুন্সীগঞ্জ পুলিশের নিয়ন্ত্রণকক্ষের তথ্য অনুযায়ী, পিনাক-৬ লঞ্চ দুর্ঘটনায় ৪৯টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ৬১ জন ছিলেন নিখোঁজের তালিকায়।
এ ঘটনায় লঞ্চের মালিক আবু বকর সিদ্দিক, সারেং ও সুকানিসহ ছয়জনকে আসামি করে পরদিন লৌহজং থানায় হত্যা মামলা করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) মাওয়া নৌবন্দরের পরিবহন পরিদর্শক জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া। ঘটনার পরই জাহাঙ্গীর ভূঁইয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে তদন্তে ওই লঞ্চডুবির ঘটনায় জাহাঙ্গীরের কোনো গাফিলতি খুঁজে পায়নি বিআইডব্লিউটিএ। জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া বর্তমানে সহকারী সমন্বয়কারী কর্মকর্তা হিসেবে বিআইডব্লিউটিএতে কর্মরত আছেন।
এদিকে মামলার আসামিদের মধ্যে লঞ্চের মালিক আবু বকর সিদ্দিক ওরফে কালু মিয়া বর্তমানে জেলহাজতে আছেন। তাঁর ছেলে ওমর ফারুক লিমন জামিনে আছেন। আর বাকি চারজনকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন লৌহজং থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হায়দার আলী। তাঁর কর্মস্থল পরিবর্তন হওয়ায় এখন তদন্ত করছেন এসআই মো. আবু জাফর।
আবু জাফর এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মামলায় পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষীদের বাড়ি অন্য জেলায় হওয়ায় অনেকে সাক্ষ্য দিতে আসতে চান না। তবে আমাদেরও চেষ্টার কমতি নেই।’