‘কিংডম অব সৌদি অ্যারাবিয়া’ পদক পেলেন বাংলাদেশি গবেষক
কিংডম অব সৌদি অ্যারাবিয়া অ্যাওয়ার্ডের জলবায়ু ব্যবস্থাপনা ক্যাটাগরি শ্রেষ্ঠ তৃতীয় গবেষকের পদক পেয়েছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ রাশেদ আল মামুন।
গত ২৫ অক্টোবর মরক্কোর রাজধানী রাবাতে ইসলামিক দেশগুলোর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সপ্তম সম্মেলনে এ পদক দেওয়া হয়।
ড. রাশেদ জলবায়ু ও পরিবেশ বিপর্যয় রোধের লক্ষ্যে বর্জ্য পদার্থ ব্যবহারের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নত ব্যবহার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। যার ফলে বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইড, হাইড্রোজেন সালফাইডসহ অন্যান্য ক্ষতিকর গ্যাসের পরিমাণ হ্রাস পাবে। এ আবিষ্কারের ফলে পরিবেশ বিপর্যয়, আর্থসামাজিক উন্নয়ন, সর্বোপরি টেকসই উন্নয়নের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে সহায়ক হবে।
এ সম্মেলনে বাংলাদেশের পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবসহ ৫৬টি দেশের পরিবেশমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সৌদি আরবের পরিবেশ, পানি ও কৃষিবিষয়ক মন্ত্রী আবদুল রহমান বিন আবদুল মোহসেন আল ফাদলি।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মরক্কোর প্রিন্সেস লাল্লা হাসনা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামিক এডুকেশন সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশনের (আইসেসকো) মহাপরিচালক ড. আবদুল আজিজ, ওথমেন অল্টওয়াইজরি, অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সেক্রেটারি জেনারেল ইউসুফ বিন আহাম্মদ আল উথাইমিন, মাল্টার প্রেসিডেন্ট মিসেস থাবিয়ে লুইস, মালির প্রেসিডেন্ট মিসেস আমিনাতা মাইগা। পদক প্রদান কমিটির চেয়ারম্যান ড. খলিল বিন মোসলেহ আল থাকাফি।
গত বছর ড. রাশেদ জাপানের কুমামোতু বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডভান্স টেকনোলজির ওপর পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। এ ছাড়া গবেষণায় সাফল্যের জন্য একই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট পদকসহ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠ প্রকাশনা পুরস্কার লাভ করেন।
ড. রাশেদের বাড়ি গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভাদগাতী গ্রামে। তাঁরা বাবা মুহাম্মদ বাছেদ ও মা মাহ্ফুজা বেগম। তিন ভাই, এক বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। তিনি কালীগঞ্জ আর আর এন পাইলট সরকারি বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন।