হত্যাকাণ্ডের ধরন আগের মতোই
আহমেদ রাজীব হায়দার, অভিজিত রায়, ওয়াসিকুর রহমান বাবু, অনন্ত বিজয় দাস থেকে নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায়। কাউকে রাজপথে আবার কাউকে বাসায় ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, সব হত্যাকাণ্ডের ধরন একই।
তবে রাজীব ও বাবু ছাড়া আর কোনো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরাসরি জড়িত কাউকে আটক করতে পারেননি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে পরিকল্পিতভাবে নীলাদ্রি হত্যাকাণ্ডের একদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাটি তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। ময়নাতদন্তে নীলাদ্রির গলায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষণের ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক হাবিবুজ্জামান চৌধুরী।
অধ্যাপক হাবিবুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘এর আগে যে কিলিংগুলো ছিল- এটাও তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমরা অভিজিত রায়- রাজীবের সময় দেখেছি সবগুলো আমাদের এখানেই হয়েছে শুধু অনন্তেরটা ছাড়া। সবগুলো মৃত্যুর যে কারণ এবং ধরন তাদের ধারাবাহিকতা এক রকম।’
হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার আগে নিজের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করতে থানায় গিয়েছিলেন নীলাদ্রি এ রকম স্ট্যাটাস ফেসবুকে দিয়েছিলেন তিনি। এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা জানান, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
এ বিষয়ে ডিবির উপকমিশনার মুনতাসির ইসলাম বলেন, ‘এখানে যদি কোনো পুলিশ কর্মকর্তার শৈথিল্য থাকে, গাফিলতি থাকে, তবে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ও বিভাগীয় আইন অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।’
এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে নীলাদ্রির মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। পিরোজপুরে গ্রামের বাড়িতে নীলাদ্রির সৎকার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের গোড়ানে নিজ বাসায় ব্লগার নীলাদ্রিকে ধারারো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তিনি নিলয় নীল নামে ব্লগে লিখতেন। ফেসবুকেও তিনি ওই নামেই ছিলেন।
এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী আশা মনি বাদী হয়ে গতকাল রাতেই খিলগাঁও থানায় অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।