রবিউল হত্যাকাণ্ডে মিরাজের পরিবার জড়িত
বরগুনার তালতলীতে শিশু রবিউল হত্যাকাণ্ড ছিল সুপরিকল্পিত। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে আরো অনেকে জড়িত রয়েছেন। হত্যা মামলা ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার লক্ষ্যে একতরফা জবানবন্দি দিয়েছেন প্রধান আসামি মিরাজ।
আজ শনিবার দুপুরে বরগুনা প্রেসক্লাব চত্বরে স্থানীয় একাধিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন রবিউলের বাবা দুলাল মৃধা।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে দুলাল মৃধা বলেন, তাঁর ছেলে রবিউলকে হত্যার যে জবানবন্দি মিরাজ আদালতে দিয়েছেন তা সঠিক নয়। পরিকল্পিত এ হত্যার সঙ্গে মিরাজের পরিবারের সবাই জড়িত ছিল। তিনি বলেন, রবিউলকে পিটিয়ে অচেতন করে মিরাজ তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানেও তাকে নির্যাতন করা হয়। সেখানে রবিউলের মৃত্যু নিশ্চিত করে তারপর তার মৃতদেহ খালে ফেলে দেয় হত্যাকারীরা। এ সময় তিনি এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
বরগুনা প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বরগুনার শত শত মানুষ অংশ নেন। তীব্র নিন্দা জানিয়ে রবিউল হত্যাকারী খুনি মিরাজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বরগুনার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান, খেলাঘর বরগুনার সভাপতি মনিরুজ্জামান নসা, উদীচীর বরগুনার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোতালেব হোসেন, নারীনেত্রী হোসনে আরা হাসি, প্রবীণ সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন মনোয়ার, চিত্তরঞ্জন শীল প্রমুখ।
বরগুনার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের আমখোলা গ্রামে মাছ চুরির অভিযোগে রবিউলকে হত্যা করা হয়। গত ৫ আগস্ট একটি খালের পার থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল।