শিক্ষার্থীদের টাকা ভাগ করে নিতেন অধ্যক্ষ-ক্যাশিয়ার

হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজের এক কোটি ৯১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অধ্যাপক বিজিত কুমার ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিনি ওই সময় কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্বে ছিলেন।
বর্তমানে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক বিজিত কুমার ভট্টাচার্যের সঙ্গে একই মামলায় আসামি করা হয়েছে বৃন্দাবন কলেজের ক্যাশিয়ার বাবুল মিয়াকেও।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন হবিগঞ্জ জেলা দুদকের উপপরিচালক মলয় কুমার সাহা।
অধ্যাপক বিজিত কুমার ভট্টাচার্যের বাড়ি সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট থানার নিয়াওল গ্রামে। আর বাবুল মিয়া হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার প্রথমরেখ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে হবিগঞ্জ শহরতলির তেঘরিয়া এলাকায় বসবাস করছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিজিত কুমার ভট্টাচার্য হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজে অধ্যক্ষ থাকাকালে ২০০৯ সালের ২ এপ্রিল থেকে ২০১৫ সালের ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে এক কোটি ৯১ লাখ এক হাজার ৮০৪ টাকা আত্মাসাতের ঘটনা ঘটে। ক্যাশিয়ার বাবুল মিয়ার সঙ্গে যোগসাজশে এ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়কৃত টাকার খরচ বা আয়-ব্যয় ক্যাশ বইতে না উঠিয়ে আদায় রেজিস্ট্রার ও ক্যাশ বই প্রতারণামূলকভাবে বিনষ্ট বা গায়েব করা হয়। এ অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতার পরিপ্রেক্ষিতে দুদক এ মামলা করে।
আজ বুধবার দুদক উপপরিচালক মলয় কুমার সাহা জানান, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে কলেজের টাকা আত্মসাৎ করেছেন—এ অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক জানান, মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলায় আরো বলা হয়, ২০১৫ সালে অধ্যক্ষ বিজিত কুমার ভট্টাচার্য বদলি হলেই দুর্নীতির বিষয়টি ধরা পড়ে। তিনি তাঁর স্থলে বদলি হয়ে আসা অধ্যক্ষকে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়েই সিলেটে চলে যান। নতুন অধ্যক্ষ খোঁজ নিয়ে হিসাবে গরমিল দেখতে পান। দেখা যায়, অধ্যক্ষ বিজিত কুমার ভট্টাচার্যের দায়িত্বকালীন কোনো অডিটও করা হয়নি।