বনানীতে ধর্ষণের মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ পেছাল

রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়েছে। আগামী ২৩ জানুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. সফিউল আলম এই দিন ধার্য করেন।
আদালতে সরকারপক্ষের কৌঁসুলি আলী আকবর এনটিভি অনলাইনকে জানান, বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের কারণে আজ এ মামলায় আসামিদের আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি। সে কারণে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক নতুন করে দিন ধার্য করেন।
গত ৮ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাতসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এ্যানি। এর পরে মামলাটি ঢাকার নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল- ২-এ বদলি হয়ে এলে ১৩ জুলাই বিচারক শফিউল আজম অভিযোগ গঠন করে মামলাটির বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে গত ৬ মে বনানী থানায় মামলা করেন এক ছাত্রী।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরের দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তাঁর বান্ধবী ও বন্ধু শাহরিয়ারকে আটক রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। বাদী ও তাঁর বান্ধবীকে জোর করে ঘরে নিয়ে যান আসামিরা। বাদীকে সাফাত আহমেদ ও বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ ধর্ষণ করেন। আরেক আসামি সাদমান সাকিফকে দুই বছর ধরে চেনেন মামলার বাদী। তাঁর মাধ্যমেই ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে সাফাতের সঙ্গে দুই ছাত্রীর পরিচয় হয়।
ধর্ষণ মামলার পাঁচ আসামির সবাই বর্তমানে কারাগারে আছেন।