যশোরের ইউপি চেয়ারম্যানসহ সাতজনের যাবজ্জীবন
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/08/31/photo-1441038237.jpg)
শিক্ষক হত্যা মামলার রায়ে যশোরের মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ সাত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ রব হাওলাদার আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
একই আদালত ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩ ধারায় সাত আসামির প্রত্যেককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ, তিন হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ এবং একই আইনের ৪ ধারায় প্রত্যেককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ, তিন হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন যশোরের মনিরামপুর উপজেলার খাকুন্দি গ্রামের বাসিন্দা মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মহিতুজ্জামান ওরফে মহিত মাস্টার (৩৫), রোজিপুর গ্রামের প্রসেন হালদার (৪২), তাঁর ভাই মহেন হালদার (৪০) ও হিরামন হালদার (২৮), একই উপজেলার খাকুন্দি গ্রামের আনিচুর রহমান (৩৫), মনোহরপুর গ্রামের মিজানুর রহমান (২২) ও রোজিপুর গ্রামের বিধান হালদার (৪০)।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনামুল হক জানান, মনিরামপুর উপজেলার মশিয়াহাটী ডিগ্রি কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সঞ্জয় হালদার ২০০৮ সালের ১৬ মার্চ সন্ধ্যায় রোজিপুরের নিজ বাড়ি থেকে পাশের কুমরঘাটা বাজারে যান। বাজার থেকে কেনাকাটা শেষে রাত ১০টার দিকে তিনি বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। কিছু দূর যাওয়ার পর ওই এলাকার আমজাদ ও মোজাম বিশ্বাসের বাড়ির সামনে রাস্তার কাছে পৌঁছালে পাশের বাঁশ বাগান থেকে সন্ত্রাসীরা সঞ্জয় হালদারের ওপর বোমা হামলা চালায়। বিস্ফোরিত বোমার স্প্লিন্টারে সঞ্জয়ের দেহ ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায়। তাঁকে যশোরের ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে তিনি মারা যান। জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসীরা তাঁকে হত্যা করে।
এ ঘটনায় সঞ্জয়ের স্ত্রী বেহুলা হালদার উল্লিখিত ব্যক্তিদের আসামি করে ১৭ মার্চ মনিরামপুর থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আলী আজম সিদ্দিকী ২০০৮ সালের ২৫ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি যশোরের আদালত থেকে মামলাটি খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। আদালত সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে এ রায় দেন।