পত্রিকায় নাম আসেনি, তাই নেতাকে মারধর
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/09/02/photo-1441214444.jpg)
বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সংবাদে বিভিন্ন সংবাদপত্রে নাম আসেনি তাঁর। আর এ কারণে ক্ষেপেছেন বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নোমান। তাই দলবল নিয়ে জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ও সাংবাদিক জহুরুল ইসলামকে মারধর করেছেন। ভাঙচুর করেছেন পাবনা শহরে জহুরুলের ব্যক্তিগত কার্যালয়।
আজ বুধবার এ ঘটনা ঘটে। আর ড্যাব নেতা নোমানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন জহুরুল হকসহ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হাবিবুর রহমান তোতা।
হাবিবুর রহমান জানান, ওই সময় জহুরুলের কার্যালয়ে উপস্থিত জেলা বিএনপির সহসভাপতি এ কে এম মুসা ও জেলা যুবদলের সভাপতি শেখ তুহিনও নোমানের কর্মীদের লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন।
জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম একই সঙ্গে আমার দেশ ও রেডিও টুডের পাবনা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘ডা. নোমান ও সাদ্দামের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে পিস্তল ঠেকিয়ে আমাকে গুলি করতে উদ্যত হয়।’ এ ব্যাপারে নোমান ও সাদ্দামসহ ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
পাবনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হাবিবুর রহমান তোতা জানান, গতকাল ১ সেপ্টেম্বর ছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের খবর বুধবার স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সেখানে নিজের নাম ছাপা না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হন ড্যাব নেতা নোমান। দুপুর দেড়টার দিকে নোমান ও সাদ্দামের নেতৃত্বে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী পাবনা জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক, আমার দেশ ও রেডিও টুডের পাবনা প্রতিনিধি জহুরুল ইসলামের ব্যক্তিগত অফিসে হামলা চালায় এবং কম্পিউটার, টেবিল-চেয়ার ভাঙচুর করে। সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক জহুরুলকে মারধর করে এবং মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
খন্দকার হাবিবুর রহমান তোতা আরো বলেন, ‘আমরা এখানে উপস্থিত থাকার পরও যেভাবে হামলা চালিয়েছে এবং আমাদেরও কিলঘুষি মেরেছে- তা খুবই দুঃখজনক।’ তিনি সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানান।
ড্যাব নেতা নোমান ঘটনার সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিষয়টি অভ্যন্তরীণ। তা ছাড়া জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক বিভিন্ন কর্মসূচির খবরে যাঁরা উপস্থিত থাকেন না তাঁদের নাম দেন এবং যাঁরা ত্যাগী তাঁদের নাম দেন না। এ কারণে দলীয় কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’
পাবনা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অরবিন্দ সাহা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ছাড়া বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা পাবনা প্রেসক্লাব নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসানুল হক বলেন, এ ব্যাপারে মামলা দেওয়া হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।