থেমে থেমে ভাঙন আতঙ্কে পদ্মা তীরের মানুষ
পদ্মার পানি এখনো বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার থেকে আজ বুধবার সকাল ৭টা পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জের ভাগ্যকুল পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। নতুন কোনো এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
তবে পানি কমতে শুরু করলেও নদীভাঙন অব্যাহত আছে। ফলে থেমে থেমে ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছে পদ্মাপাড়ের মানুষ। পুরোপুরি পানি নেমে না যাওয়ায় পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে পদ্মা তীরের শত শত পরিবার।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফজলে আজিম ফোনে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘কর্মকর্তাদের নিয়ে ভাঙনকবলিত এলাকায় গিয়েছি। সব সময়ই মনিটরিং হচ্ছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা লৌহজংয়ের কুমারভোগ ও হলুদিয়া ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী এলাকা। প্রাথমিকভাবে লঙ্গরখানা খোলা হয়েছে। বিদ্যালয়গুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র বানানো হয়েছে। তবে কেউ আসে না। এ ছাড়া প্রাথমিক তালিকা দেখে একশ পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা ও ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।’
ত্রাণ দেওয়ার পরিমাণ কম কি না—জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক জানান, নদীর তীরবর্তী এলাকায় মানুষ নেই বলেই হয়। ঘর তালা দেওয়া অথবা ঘর ভেঙে অন্য স্থানে চলে গেছে। প্রাথমিক তালিকা দেখে টাকা ও চাল দেওয়া হয়েছে। আর মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে, তবে এখনো সাহায্য আসেনি।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেকুজ্জামান ফোনে জানান, তালিকা অনুযায়ী পাঁচ হাজার টাকা ও ২০ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে। তবে এখন আর নদীভাঙন নেই। বিশুদ্ধ পানির অভাব নেই।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট মো. জয়নাল জানান, পানি কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। ভাগ্যকুল এলাকায় পানির ঢেউয়ে নদীর তীরবর্তী এলাকায় কিছুটা ভাঙছে।