যুবলীগ নেতার গুলিভর্তি পিস্তল চুরি!

যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মেজবা হোসেন বরুজের আটটি গুলিসহ একটি পিস্তল রহস্যজনকভাবে চুরি হয়েছে। এ ব্যাপারে আজ সোমবার দুপুরে তিনি বাদী হয়ে খুলনা থানায় অজ্ঞাত পরিচয় চোরদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
এর এক সপ্তাহ আগে ওই অস্ত্রের লাইসেন্সও হারিয়ে যায় বলে সোনাডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন মেজবা হোসেন।
আগ্নেয়াস্ত্র চুরির মামলার এজাহারে যুবলীগ নেতা বলেন, গতকাল তিনি তাঁর জিপ গাড়িতে (ঢাকা মেট্রো খ : ১৩-৮১১৯) করে স্যার ইকবাল রোডের সাউথইস্ট ব্যাংকে আসেন। তিনি গাড়ি থেকে নেমে গেলে চালক গাড়ি তাঁর যশোর এলজি শো-রুমের পাশের অফিসের সামনে রেখে খেতে যান। ৪০ মিনিট পর চালক মো. আরিফ হোসেন গাড়ির কাছে এসে দেখেন গাড়ির বাঁ পাশের একটি দরজা খোলা এবং ভেতরের কাগজপত্র এলোমেলো। তাৎক্ষনিক ভাবে তিনি পিস্তলটি না পেয়ে খোঁজাখুঁজির পর বিষয়টি সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জানান। পিস্তলটির মডেল নম্বর ৬৩২৯০। পিস্তলে আটটি গুলিসহ একটি ম্যাগাজিন ছিল।
মামলার এজাহারে যুবলীগ নেতা মেজবা হোসেন বরুজ আরো উল্লেখ করেন যে তিনি আরো আধুনিক দুটি অস্ত্র কিনতে লাইসেন্স গ্রহণ করেছেন। নয় মাস আগে এই অস্ত্র বিক্রির জন্য অনুমতি নিয়েছেন। এখানে আরো বলা হয়, চুরি হওয়া পিস্তলের লাইসেন্সটি ৮ সেপ্টেম্বর খুলনা সিটি ইন থেকে হারিয়ে যায়। এ ব্যাপারে সোনাডাঙ্গা থানায় ১০ সেপ্টেম্বর একটি জিডি করেন। জিডি নম্বর ৪৯১।
এ ব্যাপারে খুলনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু সুকুমার বিশ্বাস জানান, পিস্তল চুরির ঘটনায় নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। থানার এসআই শওকাত হাসান মামলাটির তদন্ত করবেন।
যুবলীগ নেতা মেজবা হোসেন বরুজ যুবলীগের অপর নেতা কাউন্সিলর শহীদ ইকবাল বিথার হত্যা মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি ছিলেন। পরে অধিকতর তদন্তে তাঁর নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়।