কোরবানির পশুর সংকট থাকবে না : মন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হক বলেছেন, কোরবানির হাটে গরুর কোনো সংকট থাকবে না। নিরাপদ মাংস নিশ্চিতকরণে সারা দেশের প্রতিটি হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম উপস্থিত থাকবে। দেশের মানুষ আসন্ন ঈদ যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারে সে জন্য পশুর হাটগুলোতে নজরদারি চলছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘নিরাপদ মাংস উৎপাদন নিশ্চিতকরণে প্রাণিসম্পদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
ছায়েদুল হক বলেন, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে খামারি পর্যায়ে সারা দেশে কোরবানি উপযোগী ৪০ লাখ গরু ও ৬৯ লাখ ছাগল প্রস্তুত রয়েছে। কোরবানির জন্য গরু ও ছাগলের কোনো সংকট হবে না।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ কো-অর্ডিনেশন কমিটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ অজয় কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন দীপন কুমার সাহা, পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. রফিকুল ইসলাম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব শেলিনা আফরোজা প্রমুখ।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, অসাধু উপায়ে যাতে কেউ গরু মোটাতাজাকরণ করতে না পারে সেজন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
গরু মোটাতাজাকরণ করতে স্টেরয়েড হরমোন প্রয়োগ করে কেউ ধরা পড়লে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সারা দেশে ৪৯টি হাটে ভেটেরিনারি চিকিৎসক দল সেবা দেবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে খামারিদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তালিকাভুক্ত খামারিরা নিরাপদ মাংস নিশ্চিকরণে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে গোমাংসের চাহিদা বাড়ছে উল্লেখ করে ছায়েদুল হক বলেন, দেশে দুধ ও মাংসের চাহিদা পূরণে গবাদি পশুর জাত উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। এর উন্নয়নে প্রয়োজন কৃত্রিম প্রজনন।
অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চিফ ভেটেরিনারি অফিসার ডা.এ বি এম শহীদুল্লাহ। বক্তারা অনুষ্ঠানে প্রতি উপজেলায় প্রাণিসম্পদ সম্পর্কিত ডায়াগনস্টিক সেন্টার নির্মাণ, গবাদি পশুর খুরা রোগসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নানা ধরনের টিকা প্রদানের ব্যবস্থা, মাঠপর্যায়ে কৃষকদের মান উন্নয়নে নানা প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয় তুলে ধরেন।
বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, কৃত্রিম প্রজনন সেবা দেশের প্রতিটি গ্রামে পৌঁছে দিতে এবং দুধ ও মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে শতকরা পাঁচ ভাগ সুদে ব্যক্তি পর্যায়ে ও ক্ষুদ্র খামারি পর্যায়ে ঋণ প্রদানের জন্য ২০০ কোটি টাকার তহবিল দেওয়া হয়েছে।